চ্যাটজিপিটির বিরুদ্ধে হতে চলেছে প্রথম মানহানির মামলা

চ্যাটজিপিটির মালিক কোম্পানি ওপেনএআই-এর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ায় এক শেহরের মেয়র।

মামলাটি হলে এটিই হবে জনপ্রিয় এই চ্যাটবটের বিরুদ্ধে আনা বিশ্বের প্রথম মানহানির মামলা।

এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।

২০২২ সালের নভেম্বরে এআই চ্যাটবট হিসেবে চ্যাটজিপিটি উন্মুক্ত করা হয়। অল্প সময়েই কয়েক মিলিয়ন ব্যবহারকারী প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার শুরু করেন।

সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার রাজনীতিবিদ হুড জানতে পারেন, ২০০০ সালের দিকে দেশটির রিজার্ভ ব্যাংকের সহযোগী অঙ্গপ্রতিষ্ঠান নোট প্রিন্টিং অস্ট্রেলিয়া এর সাথে সংশ্লিষ্ট বৈদেশিক ঘুষ কেলেঙ্কারির মামলার অপরাধী হিসেবে তার নাম দেখাচ্ছে চ্যাটজিপিটি।

এদিকে মেয়রের আইনজীবীরা জানান, হুড নিজেই সেসময় মুদ্রা ছাপানোর কাজ নিয়ে বিদেশি কর্মকর্তাদের ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন। এ বিষয়ে তৎকালীন সময়ে তার বিরুদ্ধে কোন দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়নি।

অথচ চ্যাটজিপিটির দেওয়া তথ্যমতে, ঘুষ লেনদেনের ঘটনায় অভিযুক্ত হয়ে হুড নাকি জেলও খেটেছেন! চ্যাটবটটিতে এমন ভুল তথ্য সংশোধন না করা হলে ওপেনএআই’র বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন হুড।

তিনি মামলাটি করলে এটিই হবে চ্যাটজিপিটির বিরুদ্ধে করা বিশ্বের প্রথম মানহানির মামলা।

অস্ট্রেলিয়ায় মানহানির মামলায় সাধারণত ৪ লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলারের মতো ক্ষতিপূরণ দিতে হয়।

হুডের আইনজীবী জানান, গত ২১ মার্চ ওপেনএআই এর কাছে এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে। কোম্পানিকে ভুল তথ্য ঠিক করার জন্য ২৮ দিনের সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু ওপেনএআইয়ের পক্ষ থেকে এখনও হুডের আইনি নোটিশের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো জবাব দেওয়া হয়নি। এই প্রসঙ্গে রয়টার্সের পক্ষ থেকে মন্তব্য জানতে চাওয়া হলেও ওপেনএআই থেকে সাড়া মেলেনি।

অন্যদিকে ব্রায়ান হুডের ল-ফার্ম গর্ডন লিগ্যালের অংশীদার জেমস নটন বলেন, হুড একজন নির্বাচিত প্রতিনিধি। তার সম্মানের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তার সম্পর্কে এমন মিথ্যা তথ্য দেওয়া হলে সেটা নিঃসন্দেহে জনমনে নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করবে।

অস্ট্রেলিয়ার আইন অনুযায়ী, ঠিক কতজন মানুষের কাছে ভুল তথ্যটি পৌঁছেছে, সে হিসেবে মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে মেয়রের সম্পর্কে এ অসত্য তথ্য ঠিক কতজনের কাছে পৌঁছেছে তার সুনির্দিষ্ট হিসেব নেই।

জেমস মনে করেন, অভিযোগ গুরুতর হওয়ায় হুড ২ লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলারের বেশি দাবি করতে পারেন।

চ্যাটজিপিটির মালিক কোম্পানি ওপেনএআই-এর বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ায় এক শেহরের মেয়র।

মামলাটি হলে এটিই হবে জনপ্রিয় এই চ্যাটবটের বিরুদ্ধে আনা বিশ্বের প্রথম মানহানির মামলা।

এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট।

২০২২ সালের নভেম্বরে এআই চ্যাটবট হিসেবে চ্যাটজিপিটি উন্মুক্ত করা হয়। অল্প সময়েই কয়েক মিলিয়ন ব্যবহারকারী প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার শুরু করেন।

সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার রাজনীতিবিদ হুড জানতে পারেন, ২০০০ সালের দিকে দেশটির রিজার্ভ ব্যাংকের সহযোগী অঙ্গপ্রতিষ্ঠান নোট প্রিন্টিং অস্ট্রেলিয়া এর সাথে সংশ্লিষ্ট বৈদেশিক ঘুষ কেলেঙ্কারির মামলার অপরাধী হিসেবে তার নাম দেখাচ্ছে চ্যাটজিপিটি।

এদিকে মেয়রের আইনজীবীরা জানান, হুড নিজেই সেসময় মুদ্রা ছাপানোর কাজ নিয়ে বিদেশি কর্মকর্তাদের ঘুষ লেনদেনের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন। এ বিষয়ে তৎকালীন সময়ে তার বিরুদ্ধে কোন দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়নি।

অথচ চ্যাটজিপিটির দেওয়া তথ্যমতে, ঘুষ লেনদেনের ঘটনায় অভিযুক্ত হয়ে হুড নাকি জেলও খেটেছেন! চ্যাটবটটিতে এমন ভুল তথ্য সংশোধন না করা হলে ওপেনএআই’র বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন হুড।

তিনি মামলাটি করলে এটিই হবে চ্যাটজিপিটির বিরুদ্ধে করা বিশ্বের প্রথম মানহানির মামলা।

অস্ট্রেলিয়ায় মানহানির মামলায় সাধারণত ৪ লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলারের মতো ক্ষতিপূরণ দিতে হয়।

হুডের আইনজীবী জানান, গত ২১ মার্চ ওপেনএআই এর কাছে এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে কারণ দর্শানোর নোটিশ পাঠানো হয়েছে। কোম্পানিকে ভুল তথ্য ঠিক করার জন্য ২৮ দিনের সময়ও বেঁধে দেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু ওপেনএআইয়ের পক্ষ থেকে এখনও হুডের আইনি নোটিশের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো জবাব দেওয়া হয়নি। এই প্রসঙ্গে রয়টার্সের পক্ষ থেকে মন্তব্য জানতে চাওয়া হলেও ওপেনএআই থেকে সাড়া মেলেনি।

অন্যদিকে ব্রায়ান হুডের ল-ফার্ম গর্ডন লিগ্যালের অংশীদার জেমস নটন বলেন, হুড একজন নির্বাচিত প্রতিনিধি। তার সম্মানের বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তার সম্পর্কে এমন মিথ্যা তথ্য দেওয়া হলে সেটা নিঃসন্দেহে জনমনে নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করবে।

অস্ট্রেলিয়ার আইন অনুযায়ী, ঠিক কতজন মানুষের কাছে ভুল তথ্যটি পৌঁছেছে, সে হিসেবে মামলায় অভিযোগ প্রমাণিত হলে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে মেয়রের সম্পর্কে এ অসত্য তথ্য ঠিক কতজনের কাছে পৌঁছেছে তার সুনির্দিষ্ট হিসেব নেই।

জেমস মনে করেন, অভিযোগ গুরুতর হওয়ায় হুড ২ লাখ অস্ট্রেলিয়ান ডলারের বেশি দাবি করতে পারেন।

লেখক থেকে আরো

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Advertismentspot_img

সাম্প্রতিক সংবাদ

আরও কত বছর চাপে থাকবে বাংলাদেশের অর্থনীতি?

বাংলাদেশের অর্থনীতি আরও এক বছর চাপে থাকবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বলছে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন জিডিপি কমে ৪ শতাংশ হবে। তবে...

ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমছে কেন?

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমছে। এর ফলে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। বিশেষজ্ঞরা জানান, টাকার মান কমে যাওয়ার পেছেনে বেশ কিছু...

প্যারিসে গাড়ির প্রদর্শনীতে চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ির আধিপত্য

চীনা পণ্য আমদানিকে নিরুৎসাহিত করতে বরাবরই শুল্ক আরোপের চর্চা অব্যাহত রেখেছে পশ্চিমা বিশ্ব। এই ধারাবাহিকতায় চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ি আমদানিতে আগামী পাঁচ বছরে শুল্ক ১০...

সর্বশেষ খবরের সাথে আপ টু ডেট থাকতে চান?

আমরা আপনার কাছ থেকে শুনতে চাই! আপনার বিবরণ পূরণ করুন এবং আমরা আমাদের সকল আপডেট আপনাকে জানাবো।