চীনা পণ্য আমদানিকে নিরুৎসাহিত করতে বরাবরই শুল্ক আরোপের চর্চা অব্যাহত রেখেছে পশ্চিমা বিশ্ব। এই ধারাবাহিকতায় চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ি আমদানিতে আগামী পাঁচ বছরে শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৪৫ শতাংশ করার ঘোষণা দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। যে কারণে ইইউ’ বাজারে বেড়ে যাবে চীনা বৈদ্যুতিক গাড়ির দাম। রপ্তানি খরচ বাড়বে চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোর।
এরপরও ইউরোপে বৈদ্যুতিক গাড়ির বাজার ধরতে উঠে পড়ে লেগেছে চীন। ফ্রান্সের প্যারিসে অনুষ্ঠিত গাড়ি প্রদর্শনীতে নয়টি চীনা বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান অংশ নিয়েছে। যেখানে নির্মাতারা আকর্ষণীয় ডিজাইন, অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও মডেলের গাড়ি প্রদর্শন করছে।
প্রদর্শনীর বিশাল একটি অংশজুড়ে রয়েছে বিওয়াইডি, হঙ্গকি, জিএসি’সহ নামিদামি সব চীনা গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান। তুলনামূলক কম খরচে গ্রাহকের হাতে গাড়ি তুলে দেয়াই তাদের অন্যতম লক্ষ্য। চীনা বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এক্সপেংয়ের তৈরি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার একটি গাড়ির মূল্য প্রায় ৩০ হাজার মার্কিন ডলার। এছাড়া, ইউরোপের বিভিন্ন দেশের গ্রাহকদের টার্গেট করেও নানা ডিজাইনের গাড়ি তৈরি করছে চীনা কোম্পানিগুলো।
২০২০ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাজারে চীনা বৈদ্যুতিক কোম্পানির নিবন্ধন ছিল সাড়ে তিন শতাংশ। চলতি বছরে তা বেড়ে ২৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে।
ইউরোপে প্রতিযোগিতামূলক বাজার তৈরিতে বিশাল একটি সুযোগ পেয়েছে চীনের গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো। ইউরোপীয় ব্র্যান্ডের পাশাপাশি এখন জানবে চীনা কোম্পানির নামও। তবে ইইউ’র প্রতিষ্ঠানগুলোর সুরক্ষায় চীনা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর শুল্ক আরোপ হবে।
একসময় জার্মানির বিএমডব্লিউ ও ব্রিটিশ মালিকানাধীন মিনি ব্র্যান্ডের গাড়ির আধিপত্য ছিল চীনের বাজারে। চীন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাণ এবং সুলভ মূল্যে রপ্তানি শুরু করলে ইউরোপীয় কোম্পানিগুলোর ব্যবসায় ধস নামে। গেলো প্রান্তিকে ইউরোপীয় গাড়ির বিক্রি কমেছে ৩০ শতাংশ।
প্যারিস অটো শো ৭০ হাজার বর্গ মিটার জায়গাজুড়ে পাঁচটি বড় হল নিয়ে বিস্তৃত। যেখানে প্রায় পাঁচ লাখ দর্শনার্থীর উপস্থিতি হবে বলে আশা করছেন আয়োজকরা