উচ্চ মূল্যস্ফীতি, সুদের হার বৃদ্ধি ও ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতি বেশ কঠিন সময় পার করছে। এই কঠিন সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতির বিভিন্ন খাত ২০২২-২৩ অর্থবছরে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর বার্ষিক মুনাফা কমেছে। এই কমার হার ২০ শতাংশ।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ১৬৭টি কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন ঘেঁটে দেখা গেছে, গত অর্থবছরে এই কোম্পানিগুলোর সমন্বিত বিক্রি ১০ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে ১ লাখ ২১ হাজার ১৩২ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।
কিন্তু, বিক্রি বাড়লেও সার্বিক মুনাফা কমেছে। এসব কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুনাফা ২০ দশমিক ৮ শতাংশ কমে ৮ হাজার ৮৪৮ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।
বহুজাতিক কোম্পানি, ব্যাংক, ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বিমা কোম্পানিগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। কারণ তাদের আর্থিক বছর শেষ হয় প্রতি বছরের ডিসেম্বরে।
৩০ জুন শেষ হওয়া অর্থবছরে ১৬৭টি কোম্পানির মধ্যে ১৬টি নতুন করে লোকসানে পড়েছে। ১৮টির লোকসান আগের তুলনায় বেড়েছে এবং ৭০টি কোম্পানির মুনাফা কম হয়েছে।
উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে চাহিদা কমে যাওয়া। বাংলাদেশে মূলস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ, যা ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
‘উচ্চ মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় মানুষ ব্যয় কমানোর চেষ্টা করছে, যা পুঁজিবাদী অর্থনীতির জন্য ভালো লক্ষণ নয়। এছাড়া বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার কারণে রপ্তানি বাজারেও পণ্যের চাহিদা কমেছে।’
এর মধ্যে গত অর্থবছরে রিজার্ভ ধরে রাখতে বিদেশি লেনদেন সীমাবদ্ধ করার পদক্ষেপ নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে পণ্য আমদানির ঋণপত্র (এলসি) খুলতে সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে ব্যবসায়ীদের।
একই সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম বেড়েছে। তাই বাংলাদেশের মতো আমদানিনির্ভর দেশগুলোর সংকট বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার দাম ১৬ দশমিক ১২ শতাংশ কমে ১০৯ টাকায় নেমেছে।
সবমিলিয়ে গত দুই বছরে ডলারের বিপরীতে টাকার প্রায় ৩০ শতাংশ অবমূল্যায়ন হয়েছে। এই দুর্বল টাকা ও শক্তিশালী ডলার বাংলাদেশের আমদানি ব্যয় বেশ বাড়িয়েছে।
অন্যদিকে সরকার রিজার্ভ ধরে রাখতে ও ভর্তুকি কমাতে দাম সমন্বয় করার পর জ্বালানির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বেড়েছে পরিবহন খরচও।
এই সময়ে বিদ্যুতের দাম তিন ধাপে ৫ শতাংশ করে বাড়ানো হয়, ফলে প্রায় ১৫ দশমিক ৭ শতাংশ চক্রবৃদ্ধি হয়েছে। ডিজেলের দাম বেড়েছে ৩৭ শতাংশ। দেশে ব্যবহৃত সব ধরনের পেট্রোলিয়াম পণ্য তৈরিতে ৭০ শতাংশ ডিজেল ব্যবহার হয়।
বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত ফার্নেস অয়েলের দাম বেড়েছে ৪১ দশমিক ৪ শতাংশ। একইভাবে গত অর্থবছরে শিল্প-কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের খুচরা মূল্য ১৫০ থেকে ১৭৮ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল।
‘২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বহুমুখী সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। বাড়তি খরচ কমাতে অনেক কোম্পানি পণ্যের দাম বাড়িয়েছে। কিন্তু, ভালো মুনাফা নিশ্চিত করতে এই মূল্য সমন্বয় যথেষ্ট ছিল না।’
বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মুনাফার মার্জিন (বিক্রির তুলনায় মুনাফার হার) আগের বছরের ১০ শতাংশ থেকে ৭ শতাংশে নেমে এসেছে।
যদিও গত অর্থবছরে বিক্রয়ে প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। কিন্তু, এটি উচ্চ মূল্যের কারণে হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। কিন্তু পরিমাণের দিক থেকে বিক্রির প্রবৃদ্ধি কম ছিল বলে জানান তিনি।
২০২২-২৩ অর্থবছরে সব কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি মুনাফা করেছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, ১ হাজার ৮৯৮ কোটি টাকা। এর পরে আছে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, ১ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকা, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ৪৫২ কোটি, মেঘনা পেট্রোলিয়াম ৪৪২ কোটি টাকা এবং পদ্মা অয়েল ৩৪৯ কোটি টাকা।
বিক্রির দিক থেকে কোম্পানিগুলোর মধ্যে শীর্ষে আছে এসিআই লিমিটেড, যার লেনদেন দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৫৩৫ কোটি টাকা। এর পরে আছে ক্রমান্বয়ে বিএসআরএম লিমিটেড ১১ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা, বিএসআরএম স্টিল ৮ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা, বেক্সিমকো লিমিটেড ৬ হাজার ৮৮১ কোটি টাকা, ওয়ালটন ৬ হাজার ৬৩৭ কোটি টাকা, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ৬ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা এবং জিপিএইচ ইস্পাত ৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা।
‘গত অর্থবছরে কাঁচামাল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।’
‘গ্যাস সংকটের মধ্যে অনেক টেক্সটাইল মিল মালিককে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ উৎপাদন কমাতে হয়েছে। একইভাবে অনেক প্রতিষ্ঠান এলসি খুলতে হিমশিম খাচ্ছে তাদের আমদানির সীমা কার্যত কমে যাওয়ায়।’
উদাহারণ হিসেবে বলা যায়, ডলারের দাম ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকায় ওঠার কারণে আমদানিকারকের এলসি খোলার সীমা ১ ডলার থেকে কমে ০.৮৩ ডলার হয়ে গেছে।
এছাড়া বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মূল্যস্ফীতির চাপে পশ্চিমা বাজারেও বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা কমেছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেড়ে ৫৫ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
বিভিন্ন খাতের মধ্যে তেল সরবরাহকারী সরকারি কোম্পানিগুলোর মুনাফা মার্জিন সবচেয়ে বেশি। তাদের অনেক টাকা বিভিন্ন ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে। যেখান থেকে তাদের সুদ আয় বেড়েছে। ফলে তাদের মুনাফা মার্জিন হয়েছে সর্বোচ্চ ৩৩ শতাংশ।
বিক্রি থেকে মুনাফা করার সক্ষমতার দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে হোটেল। এই খাতের মুনাফা মার্জিন হয়েছে ২৭ শতাংশ।
খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, টেলিকম ও আইটি খাতে মুনাফার মার্জিন ছিল যথাক্রমে ১৫ শতাংশ, ১৪ শতাংশ ও ১১ শতাংশ। ওষুধ ও বিদ্যুৎ খাতে মুনাফা মার্জিন হয়েছে যথাক্রমে ১০ শতাংশ ও ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ। বস্ত্র ও চামড়া খাতের মুনাফা মার্জিন ছিল ৩ শতাংশের কম।
খাদ্য খাতের মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১৫ শতাংশ। কিন্তু, হেভিওয়েট ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর শেয়ার বাদ দিলে এ খাতের মুনাফা মার্জিন ৩ দশমিক ৪৯ শতাংশে নেমে আসবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ১৬৭টি কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন ঘেঁটে দেখা গেছে, গত অর্থবছরে এই কোম্পানিগুলোর সমন্বিত বিক্রি ১০ দশমিক ৫ শতাংশ বেড়ে ১ লাখ ২১ হাজার ১৩২ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।
কিন্তু, বিক্রি বাড়লেও সার্বিক মুনাফা কমেছে। এসব কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, মুনাফা ২০ দশমিক ৮ শতাংশ কমে ৮ হাজার ৮৪৮ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।
বহুজাতিক কোম্পানি, ব্যাংক, ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বিমা কোম্পানিগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। কারণ তাদের আর্থিক বছর শেষ হয় প্রতি বছরের ডিসেম্বরে।
৩০ জুন শেষ হওয়া অর্থবছরে ১৬৭টি কোম্পানির মধ্যে ১৬টি নতুন করে লোকসানে পড়েছে। ১৮টির লোকসান আগের তুলনায় বেড়েছে এবং ৭০টি কোম্পানির মুনাফা কম হয়েছে।
উচ্চ মূল্যস্ফীতি ও অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে চাহিদা কমে যাওয়া। বাংলাদেশে মূলস্ফীতি বেড়ে হয়েছে ৯ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ, যা ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
‘উচ্চ মূল্যস্ফীতি মোকাবিলায় মানুষ ব্যয় কমানোর চেষ্টা করছে, যা পুঁজিবাদী অর্থনীতির জন্য ভালো লক্ষণ নয়। এছাড়া বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার কারণে রপ্তানি বাজারেও পণ্যের চাহিদা কমেছে।’
এর মধ্যে গত অর্থবছরে রিজার্ভ ধরে রাখতে বিদেশি লেনদেন সীমাবদ্ধ করার পদক্ষেপ নেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এতে পণ্য আমদানির ঋণপত্র (এলসি) খুলতে সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে ব্যবসায়ীদের।
একই সময়ে আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের দাম বেড়েছে। তাই বাংলাদেশের মতো আমদানিনির্ভর দেশগুলোর সংকট বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার দাম ১৬ দশমিক ১২ শতাংশ কমে ১০৯ টাকায় নেমেছে।
সবমিলিয়ে গত দুই বছরে ডলারের বিপরীতে টাকার প্রায় ৩০ শতাংশ অবমূল্যায়ন হয়েছে। এই দুর্বল টাকা ও শক্তিশালী ডলার বাংলাদেশের আমদানি ব্যয় বেশ বাড়িয়েছে।
অন্যদিকে সরকার রিজার্ভ ধরে রাখতে ও ভর্তুকি কমাতে দাম সমন্বয় করার পর জ্বালানির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে বেড়েছে পরিবহন খরচও।
এই সময়ে বিদ্যুতের দাম তিন ধাপে ৫ শতাংশ করে বাড়ানো হয়, ফলে প্রায় ১৫ দশমিক ৭ শতাংশ চক্রবৃদ্ধি হয়েছে। ডিজেলের দাম বেড়েছে ৩৭ শতাংশ। দেশে ব্যবহৃত সব ধরনের পেট্রোলিয়াম পণ্য তৈরিতে ৭০ শতাংশ ডিজেল ব্যবহার হয়।
বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত ফার্নেস অয়েলের দাম বেড়েছে ৪১ দশমিক ৪ শতাংশ। একইভাবে গত অর্থবছরে শিল্প-কারখানায় ব্যবহৃত গ্যাসের খুচরা মূল্য ১৫০ থেকে ১৭৮ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল।
‘২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো বহুমুখী সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে। বাড়তি খরচ কমাতে অনেক কোম্পানি পণ্যের দাম বাড়িয়েছে। কিন্তু, ভালো মুনাফা নিশ্চিত করতে এই মূল্য সমন্বয় যথেষ্ট ছিল না।’
বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০২২-২৩ অর্থবছরে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মুনাফার মার্জিন (বিক্রির তুলনায় মুনাফার হার) আগের বছরের ১০ শতাংশ থেকে ৭ শতাংশে নেমে এসেছে।
যদিও গত অর্থবছরে বিক্রয়ে প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। কিন্তু, এটি উচ্চ মূল্যের কারণে হয়েছে বলে মনে করেন তিনি। কিন্তু পরিমাণের দিক থেকে বিক্রির প্রবৃদ্ধি কম ছিল বলে জানান তিনি।
২০২২-২৩ অর্থবছরে সব কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি মুনাফা করেছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, ১ হাজার ৮৯৮ কোটি টাকা। এর পরে আছে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশন, ১ হাজার ৩৩৩ কোটি টাকা, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ৪৫২ কোটি, মেঘনা পেট্রোলিয়াম ৪৪২ কোটি টাকা এবং পদ্মা অয়েল ৩৪৯ কোটি টাকা।
বিক্রির দিক থেকে কোম্পানিগুলোর মধ্যে শীর্ষে আছে এসিআই লিমিটেড, যার লেনদেন দাঁড়িয়েছে ১১ হাজার ৫৩৫ কোটি টাকা। এর পরে আছে ক্রমান্বয়ে বিএসআরএম লিমিটেড ১১ হাজার ৫০৬ কোটি টাকা, বিএসআরএম স্টিল ৮ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা, বেক্সিমকো লিমিটেড ৬ হাজার ৮৮১ কোটি টাকা, ওয়ালটন ৬ হাজার ৬৩৭ কোটি টাকা, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের ৬ হাজার ২৪৭ কোটি টাকা এবং জিপিএইচ ইস্পাত ৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা।
‘গত অর্থবছরে কাঁচামাল ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।’
‘গ্যাস সংকটের মধ্যে অনেক টেক্সটাইল মিল মালিককে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ উৎপাদন কমাতে হয়েছে। একইভাবে অনেক প্রতিষ্ঠান এলসি খুলতে হিমশিম খাচ্ছে তাদের আমদানির সীমা কার্যত কমে যাওয়ায়।’
উদাহারণ হিসেবে বলা যায়, ডলারের দাম ১০০ টাকা থেকে ১২০ টাকায় ওঠার কারণে আমদানিকারকের এলসি খোলার সীমা ১ ডলার থেকে কমে ০.৮৩ ডলার হয়ে গেছে।
এছাড়া বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মূল্যস্ফীতির চাপে পশ্চিমা বাজারেও বাংলাদেশি পণ্যের চাহিদা কমেছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের রপ্তানি আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেড়ে ৫৫ দশমিক ৫৫ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
বিভিন্ন খাতের মধ্যে তেল সরবরাহকারী সরকারি কোম্পানিগুলোর মুনাফা মার্জিন সবচেয়ে বেশি। তাদের অনেক টাকা বিভিন্ন ব্যাংকে ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে। যেখান থেকে তাদের সুদ আয় বেড়েছে। ফলে তাদের মুনাফা মার্জিন হয়েছে সর্বোচ্চ ৩৩ শতাংশ।
বিক্রি থেকে মুনাফা করার সক্ষমতার দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে হোটেল। এই খাতের মুনাফা মার্জিন হয়েছে ২৭ শতাংশ।
খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, টেলিকম ও আইটি খাতে মুনাফার মার্জিন ছিল যথাক্রমে ১৫ শতাংশ, ১৪ শতাংশ ও ১১ শতাংশ। ওষুধ ও বিদ্যুৎ খাতে মুনাফা মার্জিন হয়েছে যথাক্রমে ১০ শতাংশ ও ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ। বস্ত্র ও চামড়া খাতের মুনাফা মার্জিন ছিল ৩ শতাংশের কম।
খাদ্য খাতের মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১৫ শতাংশ। কিন্তু, হেভিওয়েট ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর শেয়ার বাদ দিলে এ খাতের মুনাফা মার্জিন ৩ দশমিক ৪৯ শতাংশে নেমে আসবে।