দুই লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কর্মসূচি অনুমোদন

আগামী (২০২৩-২৪) অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)। ১ হাজার ৩০৯টি প্রকল্পের অনুকূলে এ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এনইসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও এনইসি চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।

সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এসময় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা সচিব সত্যজিৎ কর্মকারসহ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, নতুন এডিপির মধ্যে সরকারের তহবিল থেকে দেওয়া হবে ১ লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকা, বৈদেশিক ঋণ থেকে পাওয়া যাবে ৯৪ হাজার কোটি টাকা। গত অর্থবছরের তুলনায় নতুন এডিপির আকার বেড়েছে ১৬ হাজার ৯৩৪ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছর এডিপির আকার ছিল ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা।

এনইসি কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, অনুমোদিত এডিপির মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে পরিবহন ও যোগাযোগ সেক্টরে। এ সেক্টরে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৭৫ হাজার ৯৪৪ কোটি টাকা। যা মোট বরাদ্দের ২৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ। এই সেক্টরের মোট ব্যয়ের মধ্যে ৪৪ হাজার ৫৭১ কোটি টাকা সরকারি তহবিল থেকে এবং বৈদেশিক ঋণ থেকে পাওয়া যাবে ৩১ হাজার ৩৭৩ কোটি টাকা। পরিবহন ও যোগাযোগ সেক্টরে বরাদ্দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগকে। এই বিভাগ বরাদ্দ পাচ্ছে ৩৪ হাজার ৬২ কোটি টাকা।

স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন সেক্টরের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১৮ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। যা মোট বরাদ্দের ৭ দশমিক ১৮ শতাংশ। গৃহায়ন ও কমিউনিটি সুবিধাবলি সেক্টরে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২৭ হাজার ৪৬ কোটি টাকা। শিক্ষা সেক্টরে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২৯ হাজার ৮৮৯ কোটি টাকা। যা মোট বরাদ্দের ১১.৩৬ শতাংশ। স্বাস্থ্য সেক্টরে বরাদ্দের পরিমাণ ১৬ হাজার ২০৪ কোটি টাকা। যা মোট বরাদ্দের ৬.১৬ শতাংশ। এডিপির ১৫টি সেক্টরের মধ্যে এই সেক্টরগুলোই বেশি বরাদ্দ পেয়েছে।

সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাওয়া ১০ খাত

২০২৩-২৪ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ১০টি খাতের বরাদ্দের হিসেব দিয়েছে পরিকল্পনা বিভাগ। এর মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ পেয়েছে ৪০ হাজার ৫০৩ কোটি টাকা, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ পেয়েছে ৩৪ হাজার কোটি টাকা, বিদ্যুৎ বিভাগ পেয়েছে ৩৩ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা, রেলপথ মন্ত্রণালয় পেয়েছে ১৪ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ পেয়েছে ১৪ হাজার ৮৫ কোটি টাকা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় পেয়েছে ১২ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ পেয়েছে ১২ হাজার ২০৯ কোটি টাকা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পেয়েছে ১২ হাজার ১৮ কোটি টাকা, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় পেয়েছে ৯ হাজার ৪৭৪ কোটি টাকা এবং সেতু বিভাগ পেয়েছে ৯ হাজার ৬৪ কোটি টাকা।

মন্ত্রী বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে, মেট্রোরেল ও পদ্মা সেতুতে বড় বরাদ্দ থাকছে। এছাড়া কর্ণফুলী টানেল, মেট্রোরেল, পদ্মা রেল সংযোগ, যমুনা রেল সেতু ও দোহাজারী-কক্সবাজারের মতো যোগাযোগ এবং ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে অবকাঠামোর মতো বেশ কিছু বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আগামী অর্থবছরে এগুলোর বাস্তবায়ন কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। চলমান বৃহৎ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প অগ্রাধিকার দিয়ে আগামী অর্থবছরে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে সর্বোচ্চ এডিপি বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

এছাড়া বাস্তবায়নের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন ৬ প্রকল্প। বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত দেশের প্রথম ভূগর্ভস্থ সাবওয়ের (এমআরটি-১) নির্মাণকাজ পুরোদমে শুরু হবে আগামী বছর থেকে। পাশাপাশি মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়নের কাজেও গতি আসবে। এছাড়া হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের মতো প্রকল্প এবং বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর মতো বড় ব্যয়ের প্রকল্পের বাস্তবায়নেও গতি বাড়বে।

আগামী (২০২৩-২৪) অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদ (এনইসি)। ১ হাজার ৩০৯টি প্রকল্পের অনুকূলে এ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১১ মে) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে এনইসি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও এনইসি চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।

সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এসময় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, পরিকল্পনা সচিব সত্যজিৎ কর্মকারসহ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, নতুন এডিপির মধ্যে সরকারের তহবিল থেকে দেওয়া হবে ১ লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকা, বৈদেশিক ঋণ থেকে পাওয়া যাবে ৯৪ হাজার কোটি টাকা। গত অর্থবছরের তুলনায় নতুন এডিপির আকার বেড়েছে ১৬ হাজার ৯৩৪ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ অর্থবছর এডিপির আকার ছিল ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৬ কোটি টাকা।

এনইসি কার্যপত্র থেকে জানা গেছে, অনুমোদিত এডিপির মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে পরিবহন ও যোগাযোগ সেক্টরে। এ সেক্টরে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৭৫ হাজার ৯৪৪ কোটি টাকা। যা মোট বরাদ্দের ২৮ দশমিক ৮৮ শতাংশ। এই সেক্টরের মোট ব্যয়ের মধ্যে ৪৪ হাজার ৫৭১ কোটি টাকা সরকারি তহবিল থেকে এবং বৈদেশিক ঋণ থেকে পাওয়া যাবে ৩১ হাজার ৩৭৩ কোটি টাকা। পরিবহন ও যোগাযোগ সেক্টরে বরাদ্দের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগকে। এই বিভাগ বরাদ্দ পাচ্ছে ৩৪ হাজার ৬২ কোটি টাকা।

স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন সেক্টরের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ১৮ হাজার ৮৮০ কোটি টাকা। যা মোট বরাদ্দের ৭ দশমিক ১৮ শতাংশ। গৃহায়ন ও কমিউনিটি সুবিধাবলি সেক্টরে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২৭ হাজার ৪৬ কোটি টাকা। শিক্ষা সেক্টরে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ২৯ হাজার ৮৮৯ কোটি টাকা। যা মোট বরাদ্দের ১১.৩৬ শতাংশ। স্বাস্থ্য সেক্টরে বরাদ্দের পরিমাণ ১৬ হাজার ২০৪ কোটি টাকা। যা মোট বরাদ্দের ৬.১৬ শতাংশ। এডিপির ১৫টি সেক্টরের মধ্যে এই সেক্টরগুলোই বেশি বরাদ্দ পেয়েছে।

সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাওয়া ১০ খাত

২০২৩-২৪ অর্থবছরে সর্বোচ্চ ১০টি খাতের বরাদ্দের হিসেব দিয়েছে পরিকল্পনা বিভাগ। এর মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগ পেয়েছে ৪০ হাজার ৫০৩ কোটি টাকা, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ পেয়েছে ৩৪ হাজার কোটি টাকা, বিদ্যুৎ বিভাগ পেয়েছে ৩৩ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা, রেলপথ মন্ত্রণালয় পেয়েছে ১৪ হাজার ৯৬০ কোটি টাকা, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ পেয়েছে ১৪ হাজার ৮৫ কোটি টাকা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় পেয়েছে ১২ হাজার ৯৮০ কোটি টাকা, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ পেয়েছে ১২ হাজার ২০৯ কোটি টাকা, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় পেয়েছে ১২ হাজার ১৮ কোটি টাকা, নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয় পেয়েছে ৯ হাজার ৪৭৪ কোটি টাকা এবং সেতু বিভাগ পেয়েছে ৯ হাজার ৬৪ কোটি টাকা।

মন্ত্রী বলেন, প্রতিবারের মতো এবারও মেগা প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে, মেট্রোরেল ও পদ্মা সেতুতে বড় বরাদ্দ থাকছে। এছাড়া কর্ণফুলী টানেল, মেট্রোরেল, পদ্মা রেল সংযোগ, যমুনা রেল সেতু ও দোহাজারী-কক্সবাজারের মতো যোগাযোগ এবং ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে অবকাঠামোর মতো বেশ কিছু বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের শেষ পর্যায়ে রয়েছে। আগামী অর্থবছরে এগুলোর বাস্তবায়ন কাজ শেষ করার কথা রয়েছে। চলমান বৃহৎ অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প অগ্রাধিকার দিয়ে আগামী অর্থবছরে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে সর্বোচ্চ এডিপি বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

এছাড়া বাস্তবায়নের চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে মেট্রোরেলের এমআরটি লাইন ৬ প্রকল্প। বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত দেশের প্রথম ভূগর্ভস্থ সাবওয়ের (এমআরটি-১) নির্মাণকাজ পুরোদমে শুরু হবে আগামী বছর থেকে। পাশাপাশি মাতারবাড়ি বন্দর উন্নয়নের কাজেও গতি আসবে। এছাড়া হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল নির্মাণের মতো প্রকল্প এবং বঙ্গবন্ধু রেল সেতুর মতো বড় ব্যয়ের প্রকল্পের বাস্তবায়নেও গতি বাড়বে।

লেখক থেকে আরো

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Advertismentspot_img

সাম্প্রতিক সংবাদ

আরও কত বছর চাপে থাকবে বাংলাদেশের অর্থনীতি?

বাংলাদেশের অর্থনীতি আরও এক বছর চাপে থাকবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বলছে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন জিডিপি কমে ৪ শতাংশ হবে। তবে...

ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমছে কেন?

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমছে। এর ফলে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। বিশেষজ্ঞরা জানান, টাকার মান কমে যাওয়ার পেছেনে বেশ কিছু...

প্যারিসে গাড়ির প্রদর্শনীতে চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ির আধিপত্য

চীনা পণ্য আমদানিকে নিরুৎসাহিত করতে বরাবরই শুল্ক আরোপের চর্চা অব্যাহত রেখেছে পশ্চিমা বিশ্ব। এই ধারাবাহিকতায় চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ি আমদানিতে আগামী পাঁচ বছরে শুল্ক ১০...

সর্বশেষ খবরের সাথে আপ টু ডেট থাকতে চান?

আমরা আপনার কাছ থেকে শুনতে চাই! আপনার বিবরণ পূরণ করুন এবং আমরা আমাদের সকল আপডেট আপনাকে জানাবো।