চলতি অর্থবছরের প্রথম দশ মাসে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকপণ্য যুক্তরাজ্য, কানাডা এবং ইউরোপের বাজারে রপ্তানি বেড়েছে। পক্ষান্তরে রপ্তানি কমেছে যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ইপিবির ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিলের জন্য দেশভিত্তিক রপ্তানির তথ্য মতে, প্রথম ১০ মাসের তৈরি পোশাক রপ্তানি আয় গত অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ০৯ শতাংশ প্রবৃদ্ধিসহ ৩৮ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
গত ১০ মাসে তৈরি পোশাকপণ্য যুক্তরাজ্যের বাজারে রপ্তানি বেড়েছে ১০ দশমিক ৮৮ শতাংশ, কানাডার বাজারে বেড়েছে ১৬ দশমিক ০৯ শতাংশ এবং ইউরোপের বাজারে বেড়েছে ৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ। অপরদিকে যুক্তরাজ্যের বাজারে কমেছে ৭ দশমিক ১৩ শতাংশ পণ্য।
উল্লিখিত সময়ের মধ্যে ইইউ’তে আমাদের রপ্তানি ২০২১-২২ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৮ দশমিক ৫৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ইইউ অঞ্চলের প্রধান বাজারগুলোর মধ্যে জার্মানিতে রপ্তানি উল্লিখিত সময়ে পূর্ববর্তী বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭ দশমিক ৩৩ শতাংশ কমে পেয়ে ৫ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
ফ্রান্স এবং স্পেনে আমাদের পোশাক রপ্তানি ছিল যথাক্রমে ২ দশমিক ৪০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ও ২ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং প্রবৃদ্ধি ছিল যথাক্রমে ২২ দশমিক ২১ শতাংশ এবং ১৬ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
ইতালিও ৪২ দশমিক ৪০ শতাংশ ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির প্রবণতা দেখিয়েছে এবং ১ দশমিক ৮৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। অন্যদিকে, বুলগেরিয়া এবং পোল্যান্ডে আমাদের রপ্তানি বছরওয়ারিভাবে যথাক্রমে ৪৬ দশমিক ৪৩ শতাংশ এবং ১৭ দশমিক ৫৯ শতাংশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি দেখিয়েছে।
হতাশাব্যাঞ্জক প্রবণতা অনুসরণ করে ২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে আমাদের রপ্তানিতে ৭ দশমিক ১৩ শতাংশ ঋণাত্মক প্রবৃদ্ধি হয়েছে এবং ৬.৯৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। অধিকন্তু, যুক্তরাজ্য এবং কানাডায়, উভয় বাজারে রপ্তানিতে যথাক্রমে ১০ দশমিক ৮৮ শতাংশ এবং ১৬ দশমিক ০৯ শতাংশ ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
২০২২-২৩ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল মাসে অপ্রচলিত বাজারে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি ৩০ দশমিক ৮০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
অপ্রচলিত বাজারগুলোর মধ্যে জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ভারত এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মতো প্রধান বাজারগুলোতে আমাদের রপ্তানি ছিল যথাক্রমে ১ দশমিক ৩২ বিলিয়ন, ৯৬১ দশমিক ৩০ মিলিয়ন, ৮৮৯ দশমিক ০৬ মিলিয়ন এবং ৪৭৭ দশমিক ৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।