আকাশে ড্রোন উড়িয়ে শিল্পকর্ম

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সাহায্যে এমন শিল্পকর্ম তৈরি করে ‘স্টুডিও ড্রিফট’

অন্ধকার আকাশে শত শত ড্রোন উড়িয়ে শিল্পকর্ম তৈরি করে আমস্টারডামের “স্টুডিও ড্রিফট”। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সাহায্যে এমন শিল্পকর্ম তৈরি করেন তাদের প্রধান দুই ব্যক্তি লোনেকে গর্ডাইন ও রাল্ফ নাওটার।

স্টুডিও ড্রিফটের এমন কাজ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। তাদের কার্যালয় আমস্টারডামে। গর্ডাইন আর নাওটার সঙ্গে আরও ১৫ জন কাজ করেন। স্টুডিও ড্রিফটের তৈরি শিল্পকর্ম প্রমাণ করে যে, উচ্চপ্রযুক্তি বিষয়টি সুন্দর ও কাব্যিকও হতে পারে।

রাল্ফ নাওটা বলেন, “আমার মনে হয় এআই আর্টিস্টদের জায়গা নিচ্ছে। তবে আমি মনে করি না যে, এটা খারাপ। কারণ আমার মতে, একজন ভালো আর্টিস্টের উচিত ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন ভাবনা সৃষ্টি করা।”

২০২২ সালে জার্মানির হামবুর্গের এলবফিলহার্মোনির পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শিল্পকর্ম তৈরি করেছিল স্টুডিও ড্রিফট। ৩০০-র বেশি ড্রোন রাতের অন্ধকার ভেদ করে আকাশে উড়েছিল। স্থান এবং এলবফিলহার্মোনির কনসার্ট হলের স্থাপত্য থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে লাইট ইনস্টলেশনটি তৈরি করা হয়েছিল।

তবে দুঃখজনকভাবে রিহার্সালের সময় ১৫টি ড্রোন পড়ে গিয়েছিল। বাইরের কিছুর প্রভাবে, নাকি প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে এমনটা হয়েছিল, তা জানা যায়নি। মূল অনুষ্ঠানের সময়ও পাঁচটি ড্রোন পড়ে গিয়েছিল। এরপর নিরাপত্তার কারণে পরের শো’গুলো বাতিল করা হয়। এতে শোয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই হতাশ হয়েছিলেন।

স্টুডিও ড্রিফট এখন “গুগল কোয়ান্টাম এআই” এর কাজ করছে। কোয়ান্টাম কম্পিউটার কীভাবে কাজ করে তা কল্পনায় তুলে ধরার লক্ষ্য তাদের। সাধারণ কম্পিউটারের তুলনায় কয়েক লাখ গুন দ্রুত কাজ করতে পারে কোয়ান্টাম কম্পিউটার। এমন গতির কারণ, এটি গণনার কাজ একসঙ্গে চালিয়ে যায়, একটার পর একটা নয়। অনেকটা গাছের মতো, যেখানে বৃদ্ধি ও সালোক সংশ্লেষণ একই সময়ে ঘটে থাকে।

নাওটা বলেন, “এআই এর কোনো সীমা নেই, যা ভয়ের কারণ। এআই কী হয়ে যেতে পারে সে সম্পর্কে আমরা ভাবতে পারি না। কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। শূন্য। এটি বিবর্তনের একটি রূপ, এটি পরবর্তী জীবনের রূপের মতো, যা আমরা কল্পনা করতে পারি না। একটি বানর যেমন আমাদের দক্ষতা কল্পনা করতে পারে না, আমরা কী হতে পারি বুঝতে পারে না; আমরা এবং এআই এর বিষয়টিও সেরকম।”

গুগল কোয়ান্টাম এআই-এর কার্যালয় ক্যালিফোর্নিয়ায় সান্তা বারবারায়। উচ্চ নিরাপত্তায় ঘেরা এই কার্যালয়ে কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরির কাজ চলছে। এই কম্পিউটারের প্রক্রিয়াকরণ ক্ষমতা ও গতি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ভবিষ্যৎ গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এখনই এই কম্পিউটার এমন সমস্যার সমাধান করতে পারে, যেটা করতে সাধারণ কম্পিউটারের লাগবে দেড় লাখ বছর।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সাহায্যে এমন শিল্পকর্ম তৈরি করে ‘স্টুডিও ড্রিফট’

অন্ধকার আকাশে শত শত ড্রোন উড়িয়ে শিল্পকর্ম তৈরি করে আমস্টারডামের “স্টুডিও ড্রিফট”। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের সাহায্যে এমন শিল্পকর্ম তৈরি করেন তাদের প্রধান দুই ব্যক্তি লোনেকে গর্ডাইন ও রাল্ফ নাওটার।

স্টুডিও ড্রিফটের এমন কাজ বিশ্বব্যাপী সমাদৃত। তাদের কার্যালয় আমস্টারডামে। গর্ডাইন আর নাওটার সঙ্গে আরও ১৫ জন কাজ করেন। স্টুডিও ড্রিফটের তৈরি শিল্পকর্ম প্রমাণ করে যে, উচ্চপ্রযুক্তি বিষয়টি সুন্দর ও কাব্যিকও হতে পারে।

রাল্ফ নাওটা বলেন, “আমার মনে হয় এআই আর্টিস্টদের জায়গা নিচ্ছে। তবে আমি মনে করি না যে, এটা খারাপ। কারণ আমার মতে, একজন ভালো আর্টিস্টের উচিত ভবিষ্যৎ নিয়ে নতুন ভাবনা সৃষ্টি করা।”

২০২২ সালে জার্মানির হামবুর্গের এলবফিলহার্মোনির পঞ্চম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শিল্পকর্ম তৈরি করেছিল স্টুডিও ড্রিফট। ৩০০-র বেশি ড্রোন রাতের অন্ধকার ভেদ করে আকাশে উড়েছিল। স্থান এবং এলবফিলহার্মোনির কনসার্ট হলের স্থাপত্য থেকে অনুপ্রেরণা নিয়ে লাইট ইনস্টলেশনটি তৈরি করা হয়েছিল।

তবে দুঃখজনকভাবে রিহার্সালের সময় ১৫টি ড্রোন পড়ে গিয়েছিল। বাইরের কিছুর প্রভাবে, নাকি প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে এমনটা হয়েছিল, তা জানা যায়নি। মূল অনুষ্ঠানের সময়ও পাঁচটি ড্রোন পড়ে গিয়েছিল। এরপর নিরাপত্তার কারণে পরের শো’গুলো বাতিল করা হয়। এতে শোয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই হতাশ হয়েছিলেন।

স্টুডিও ড্রিফট এখন “গুগল কোয়ান্টাম এআই” এর কাজ করছে। কোয়ান্টাম কম্পিউটার কীভাবে কাজ করে তা কল্পনায় তুলে ধরার লক্ষ্য তাদের। সাধারণ কম্পিউটারের তুলনায় কয়েক লাখ গুন দ্রুত কাজ করতে পারে কোয়ান্টাম কম্পিউটার। এমন গতির কারণ, এটি গণনার কাজ একসঙ্গে চালিয়ে যায়, একটার পর একটা নয়। অনেকটা গাছের মতো, যেখানে বৃদ্ধি ও সালোক সংশ্লেষণ একই সময়ে ঘটে থাকে।

নাওটা বলেন, “এআই এর কোনো সীমা নেই, যা ভয়ের কারণ। এআই কী হয়ে যেতে পারে সে সম্পর্কে আমরা ভাবতে পারি না। কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। শূন্য। এটি বিবর্তনের একটি রূপ, এটি পরবর্তী জীবনের রূপের মতো, যা আমরা কল্পনা করতে পারি না। একটি বানর যেমন আমাদের দক্ষতা কল্পনা করতে পারে না, আমরা কী হতে পারি বুঝতে পারে না; আমরা এবং এআই এর বিষয়টিও সেরকম।”

গুগল কোয়ান্টাম এআই-এর কার্যালয় ক্যালিফোর্নিয়ায় সান্তা বারবারায়। উচ্চ নিরাপত্তায় ঘেরা এই কার্যালয়ে কোয়ান্টাম কম্পিউটার তৈরির কাজ চলছে। এই কম্পিউটারের প্রক্রিয়াকরণ ক্ষমতা ও গতি আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ভবিষ্যৎ গড়তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এখনই এই কম্পিউটার এমন সমস্যার সমাধান করতে পারে, যেটা করতে সাধারণ কম্পিউটারের লাগবে দেড় লাখ বছর।

লেখক থেকে আরো

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Advertismentspot_img

সাম্প্রতিক সংবাদ

আরও কত বছর চাপে থাকবে বাংলাদেশের অর্থনীতি?

বাংলাদেশের অর্থনীতি আরও এক বছর চাপে থাকবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বলছে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন জিডিপি কমে ৪ শতাংশ হবে। তবে...

ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমছে কেন?

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমছে। এর ফলে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। বিশেষজ্ঞরা জানান, টাকার মান কমে যাওয়ার পেছেনে বেশ কিছু...

প্যারিসে গাড়ির প্রদর্শনীতে চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ির আধিপত্য

চীনা পণ্য আমদানিকে নিরুৎসাহিত করতে বরাবরই শুল্ক আরোপের চর্চা অব্যাহত রেখেছে পশ্চিমা বিশ্ব। এই ধারাবাহিকতায় চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ি আমদানিতে আগামী পাঁচ বছরে শুল্ক ১০...

সর্বশেষ খবরের সাথে আপ টু ডেট থাকতে চান?

আমরা আপনার কাছ থেকে শুনতে চাই! আপনার বিবরণ পূরণ করুন এবং আমরা আমাদের সকল আপডেট আপনাকে জানাবো।