৩৩.৬০ লাখ এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানি করছে সরকার

সুইজারল্যান্ড-ভিত্তিক টোটালএনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার থেকে ৩৩.৬০ লাখ মেট্রিক মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট (এমএমবিটিইউ) তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করছে সরকার।

গতকাল মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এলএনজি আমদানির এ প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।

এই এলএনজি আমদানিতে ব্যয় হবে ৪৭০.৪৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানিতে ব্যয় হবে ১০.৮৮ ডলার। কমিটির সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানান।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, রাষ্ট্রীয় বিপণন সংস্থা টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী এক কোটি পরিবারের কাছে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির জন্য ৩৯১.১৯ কোটি টাকার রাইস ব্র্যান অয়েল এবং মসুর ডাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ১.২০ কোটি লিটার রাইস ব্র্যান অয়েল এবং ২০ হাজার টন মসুর ডাল রয়েছে।

সরাসরি ক্রয় (ডিপিএম) পদ্ধতিতে তিনটি লটে তিনটি স্থানীয় প্রতিষ্ঠান এই তেল সরবরাহ করবে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- মজুমদার প্রোডাক্ট, মজুমদার ব্র্যান অয়েল মিলস এবং আলী ন্যাচারাল অয়েল মিলস অ্যান্ড অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ। প্রতি লিটার রাইস ব্র্যান অয়েল কেনা হচ্ছে ১৫৮ টাকা দরে। এতে মোট ব্যয় হবে ১৮৯.৬০ কোটি লাখ টাকা।

এছাড়া ভারতের উমা এক্সপো প্রাইভেট লিমিটেড থেকে ১০ হাজার টন মসুর ডাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে কমিটি।

পাশাপাশি ১০৫ টাকা কেজি দরে বগুড়ার রয় অ্যাগ্রো ফুড প্রোডাক্টস এবং ঢাকার নাবিল নবা ফুডস থেকে আরও ১০ হাজার টন মসুর ডাল কেনার প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ১০৫.৪৫ কোটি টাকা।

সার ক্রয়

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির আওতায় সৌদি আরবের মা’আদেন থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ২৫৯.১৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রতি টন সারের দাম পড়ছে ৫৮৯ ডলার।

দেশটির আরেক প্রতিষ্ঠান সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস থেকে ৬০,০০০ ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাবও অনুমোদিত হয়েছে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ২০৭ কোটি টাকা।

এছাড়া মরক্কোর ওসিপি এসএ থেকে আমদানি করা হবে ৩০ হাজার টন টিএসপি সার। এতে খরচ ধরা হয়েছে ১২৭.৩৮ কোটি টাকা। সে হিসেবে প্রতি টন সারের দাম পড়ছে ৩৮৬ ডলার।

একই প্রতিষ্ঠান থেকে আরও ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানি করা হবে। প্রতি টন ৫৪৭.৫০ ডলার দরে এ সার আমদানিতে সরকারের খরচ পড়বে ২৪০.৯০ কোটি টাকা।

এছাড়া রাশিয়ার জেএসসি ফরেন ইকোনমিক কর্পোরেশন ‘প্রোডিংটর্গ ট্রগ থেকে ৩০ হাজার টন এমওপি সার আমদানি করা হবে। প্রতি টন ৩০২.১০ ডলার দরে এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৯ কোটি টাকা।

কাতারের মুনতাজাত থেকে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনা হবে। প্রতি টন ৩১৩.৪২ ডলার দরে এ সার ক্রয়ে ব্যয় হবে প্রায় ১০৩.৪৩ কোটি টাকা।

আরেকটি প্রস্তাবের আওতায় দেশীয় প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনা হবে। প্রতি টন ৩১৬.৬২ ডলার দরে এতে সরকারের ব্যয় হবে প্রায় ১০৪.৪৯ কোটি টাকা।
সুইজারল্যান্ড-ভিত্তিক টোটালএনার্জিস গ্যাস অ্যান্ড পাওয়ার থেকে ৩৩.৬০ লাখ মেট্রিক মিলিয়ন ব্রিটিশ থার্মাল ইউনিট (এমএমবিটিইউ) তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি করছে সরকার।

গতকাল মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এলএনজি আমদানির এ প্রস্তাব অনুমোদন করেছে।

এই এলএনজি আমদানিতে ব্যয় হবে ৪৭০.৪৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানিতে ব্যয় হবে ১০.৮৮ ডলার। কমিটির সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা এসব তথ্য জানান।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, রাষ্ট্রীয় বিপণন সংস্থা টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী এক কোটি পরিবারের কাছে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রির জন্য ৩৯১.১৯ কোটি টাকার রাইস ব্র্যান অয়েল এবং মসুর ডাল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর মধ্যে ১.২০ কোটি লিটার রাইস ব্র্যান অয়েল এবং ২০ হাজার টন মসুর ডাল রয়েছে।

সরাসরি ক্রয় (ডিপিএম) পদ্ধতিতে তিনটি লটে তিনটি স্থানীয় প্রতিষ্ঠান এই তেল সরবরাহ করবে। প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- মজুমদার প্রোডাক্ট, মজুমদার ব্র্যান অয়েল মিলস এবং আলী ন্যাচারাল অয়েল মিলস অ্যান্ড অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ। প্রতি লিটার রাইস ব্র্যান অয়েল কেনা হচ্ছে ১৫৮ টাকা দরে। এতে মোট ব্যয় হবে ১৮৯.৬০ কোটি লাখ টাকা।

এছাড়া ভারতের উমা এক্সপো প্রাইভেট লিমিটেড থেকে ১০ হাজার টন মসুর ডাল কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে কমিটি।

পাশাপাশি ১০৫ টাকা কেজি দরে বগুড়ার রয় অ্যাগ্রো ফুড প্রোডাক্টস এবং ঢাকার নাবিল নবা ফুডস থেকে আরও ১০ হাজার টন মসুর ডাল কেনার প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে মোট ব্যয় হবে ১০৫.৪৫ কোটি টাকা।

সার ক্রয়

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির আওতায় সৌদি আরবের মা’আদেন থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ২৫৯.১৬ কোটি টাকা। অর্থাৎ প্রতি টন সারের দাম পড়ছে ৫৮৯ ডলার।

দেশটির আরেক প্রতিষ্ঠান সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস থেকে ৬০,০০০ ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাবও অনুমোদিত হয়েছে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ২০৭ কোটি টাকা।

এছাড়া মরক্কোর ওসিপি এসএ থেকে আমদানি করা হবে ৩০ হাজার টন টিএসপি সার। এতে খরচ ধরা হয়েছে ১২৭.৩৮ কোটি টাকা। সে হিসেবে প্রতি টন সারের দাম পড়ছে ৩৮৬ ডলার।

একই প্রতিষ্ঠান থেকে আরও ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানি করা হবে। প্রতি টন ৫৪৭.৫০ ডলার দরে এ সার আমদানিতে সরকারের খরচ পড়বে ২৪০.৯০ কোটি টাকা।

এছাড়া রাশিয়ার জেএসসি ফরেন ইকোনমিক কর্পোরেশন ‘প্রোডিংটর্গ ট্রগ থেকে ৩০ হাজার টন এমওপি সার আমদানি করা হবে। প্রতি টন ৩০২.১০ ডলার দরে এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৯ কোটি টাকা।

কাতারের মুনতাজাত থেকে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার কেনা হবে। প্রতি টন ৩১৩.৪২ ডলার দরে এ সার ক্রয়ে ব্যয় হবে প্রায় ১০৩.৪৩ কোটি টাকা।

আরেকটি প্রস্তাবের আওতায় দেশীয় প্রতিষ্ঠান কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড (কাফকো) থেকে ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার কেনা হবে। প্রতি টন ৩১৬.৬২ ডলার দরে এতে সরকারের ব্যয় হবে প্রায় ১০৪.৪৯ কোটি টাকা।
বিজনেস দর্পণ
বিজনেস দর্পণhttp://businessdorpon.com
Empowering your business decisions with reliable news and data.

লেখক থেকে আরো

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Advertismentspot_img

সাম্প্রতিক সংবাদ

আরও কত বছর চাপে থাকবে বাংলাদেশের অর্থনীতি?

বাংলাদেশের অর্থনীতি আরও এক বছর চাপে থাকবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বলছে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন জিডিপি কমে ৪ শতাংশ হবে। তবে...

ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমছে কেন?

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমছে। এর ফলে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। বিশেষজ্ঞরা জানান, টাকার মান কমে যাওয়ার পেছেনে বেশ কিছু...

প্যারিসে গাড়ির প্রদর্শনীতে চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ির আধিপত্য

চীনা পণ্য আমদানিকে নিরুৎসাহিত করতে বরাবরই শুল্ক আরোপের চর্চা অব্যাহত রেখেছে পশ্চিমা বিশ্ব। এই ধারাবাহিকতায় চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ি আমদানিতে আগামী পাঁচ বছরে শুল্ক ১০...

সর্বশেষ খবরের সাথে আপ টু ডেট থাকতে চান?

আমরা আপনার কাছ থেকে শুনতে চাই! আপনার বিবরণ পূরণ করুন এবং আমরা আমাদের সকল আপডেট আপনাকে জানাবো।