কৃষিতে প্রযুক্তির প্রসার ও ভালো মানের বীজ সরবরাহ থাকায় প্রবাসী অধ্যুষিত অগ্রসরমান জনপদ ফেনীতে বাড়ছে সবজির আবাদ।
চাষাবাদের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন প্রবাস ফেরত, ব্যবসায়ী, শিক্ষিত যুবকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। দেশের উত্তরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে শ্রমিকরা কাজ করছেন ফসলের মাঠে। আয় করছেন দৈনিক ৮০০ থেকে এক হাজার টাকা। জেলার ছয়টি উপজেলার বিভিন্ন প্রান্তে শীতকালীন সবজি চাষ আগের চেয়ে বেড়েছে।
ধানের আবাদের পর এখন আর কোনো জমিই পতিত পড়ে থাকছে না।
কৃষকদের সবজির আবাদে ভালো ফলনের জন্য মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিভাগ থেকে সার-বীজসহ পরামর্শ সেবাসহ বিভিন্ন সহায়তা দিচ্ছেন উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তারা।
কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তির প্রসার ও ভালো বীজ সরবরাহ হওয়ায় সবজি আবাদ বাড়ছে বলে মনে করছেন কৃষি বিভাগ। ফেনী জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত শীত মৌসুমে সবজি উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ছিল পাঁচ হাজার ২৫০ হেক্টর।
চাষ হয়েছিল পাঁচ হাজার ৩৫১ হেক্টর। উৎপাদন হয়েছিল এক লাখ ৩৮ হাজার ৩০ মেট্রিক টন। কৃষিকাজে সম্পৃক্ত ছিল সাড়ে ২৩ হাজারের মত কৃষক।
চলতি মৌসুমে সবজি উৎপাদনে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার ৫৩৬ হেক্টর। জানুয়ারি মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত আবাদ হয়েছে পাঁচ হাজার ২৪২ হেক্টর জমিতে। আরও ২০০ হেক্টরে আবাদের পরিকল্পনা আছে কৃষকদের।
চলতি মৌসুমে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে এক লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন সবজি।
এ চাষাবাদে সম্পৃক্ত থাকার কথা রয়েছে ২৫ থেকে ২৮ হাজার কৃষকের। প্রযুক্তির প্রসারে কৃষিতে উৎপাদন বেড়েছে বহুগুণে।
কৃষিতে প্রণোদনা ও সহজ শর্তে ঋণসহ সুযোগ-সুবিধা বাড়লে এ জেলায় সবজির আবাদ আরও বাড়বে বলে মনে করছেন ও কৃষক ও সংশ্লিষ্টরা।