বিদ্যুৎ চুক্তির যেকোনো বিষয়ে বাংলাদেশ ও আদানি গ্রুপের মধ্যে আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে ভারত। গত ১২ সেপ্টেম্বর দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ কথা জানিয়েছেন মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল।

জয়সোয়াল জানান , আপনি যেটি উল্লেখ করেছেন তা একটি বেসরকারি প্রকল্প। এটি দুটি পক্ষের মধ্যে ক্রেতা বিক্রেতার চুক্তিতে আবদ্ধ। একটি পক্ষ যেটি ভারতীয় ও অপরপক্ষ বাংলাদেশী।তাই এই চুক্তি থেকে তারা কি চায় তা উভয় পক্ষেরই সিদ্ধান্ত নেয়া বিষয়।
মূলত সম্প্রতি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। আদানি গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুৎ চুক্তিসহ, ভারতীয় ব্যবসায়িক গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে করা বিভিন্ন চুক্তি খতিয়ে দেখবে বাংলাদেশ।
এ বিষয়ে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাইজুল কভির খান জানান বিদ্যুৎ খাতের প্রতিটি প্রকল্পই যাচাই করা হচ্ছে। তিনি বলেন বিদ্যুৎ খাতের প্রতিটি প্রকল্পে যাচাই বাছাই করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। ওইসব প্রকল্পের মধ্যে আদানি চুক্তি ও আছে।

আদানি পাওয়ারের একজন মুখপাত্র ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস কে বলেন। বাংলাদেশ আমাদের বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি রিভিউ করেছে, এমন কোন তথ্য আমাদের কাছে নেই। বিপুল বকেয়া সত্ত্বেও সত্যিকার অংশীদারিত্বের চেতনায় আমরা তাদেরকে বিদ্যুৎ সরবরাহ অব্যাহত রেখেছি।
২০১৭ সালে স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশ ২০২৩ সাল থেকে আদানির বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনছে। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার প্রথম আগ পর্যন্ত এ কেন্দ্রের বিদ্যুৎ শুধু বাংলাদেশী সরবরাহ করা হতো। তবে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর। ভারত সরকার আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্রকে ভারতের বাজারেও বিদ্যুৎ বিক্রির অনুমতি দেয়।
৯ই সেপ্টেম্বর ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে ৮০০ মিলিয়ন ডলার বকেয়া দ্রুত পরিশোধ করার জন্য অনুরোধ করেছে আদানি গ্রুপ। এমন পরিস্থিতিতে বকেয়া পরিশোধ না করায়। বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মোঃ ইউনূসের কাছে চিঠি লিখেছেন ভারতের আদানি গ্রুপের চেয়ারম্যান গৌতম আদানি।

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে