বিপাকে আওয়ামী লীগের পলাতক নেতাদের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান

দেশের ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক খাতের নানা ব্যবসায় সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন আওয়ামী লীগসংশ্লিষ্টরা। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চরম সংকটে পড়েছেন দলটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা। জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের তীব্রতা ও সরকার পতনের আভাস পেয়ে অনেকে আগেই দেশ ছাড়েন। আবার কেউ কেউ আওয়ামী লীগের পতনের পর পালিয়ে যান। আবার আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের যেসব নেতা দেশ ছাড়তে পারেননি, তারা আত্মগোপনে রয়েছেন। ফলে আওয়ামী লীগ নেতাদের মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম এখন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেছে।

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের ফলে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে দলটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো। অনেক প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ব্যাপক লুটপাটের ঘটনা ঘটছে। এমনকি কোনো কোনোটি বন্ধও হয়ে গেছে। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বহু শ্রমিক। আবার এসব প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া হয়েছে। ব্যবসায়িক কার্যক্রম ব্যাহত হলে ঋণ পরিশোধে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। আর এসবের সামগ্রিক প্রভাব পড়বে দেশের অর্থনীতিতে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সর্বশেষ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে মেয়র হন মো. আতিকুল ইসলাম। সরকার পতনের পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন তিনি। ১৯৮৫ সালে তৈরি পোশাক খাতে ব্যবসা শুরু করেন আতিকুল ইসলাম। গড়ে তোলেন ইসলাম গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ। সর্বশেষ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের হলফনামা অনুযায়ী আতিকুলের তৈরি পোশাক কারখানাসহ ১৬টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। বর্তমানে বিজিএমইএর সাবেক এ সভাপতির অনুপস্থিতিতে তার মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ভবিষ্যৎ ঝুঁকিতে পড়ে গেছে।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দফায় দফায় লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গাজী টায়ার্সের কারখানায়। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার সাবেক পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। সর্বশেষ গত ২৫ আগস্ট কারখানাটিতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এর আগে ও পরে কারখানাটিতে ব্যাপক মাত্রায় লুটপাটও চালানো হয়। পুরোপুরি অগ্নিভুত হয় কারখানাটির কাঁচামাল রাখার গুদাম। এতে হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। এ কারখানায় প্রায় আড়াই হাজার কর্মকর্তা ও শ্রমিক-কর্মচারী কর্মরত ছিলেন। ক্ষতিগ্রস্ত কারখানাটি শিগগিরই চালু না হলে শ্রমিকরা বেকার হয়ে যাবেন।

আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি। তিনি তৈরি পোশাক রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর ২০২৪-২৬ মেয়াদে সভাপতি নির্বাচিত হন। সরকার পতনের আগে তিনি পারিবারিক কারণে সিঙ্গাপুর যান। এসএম মান্নান কচি তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠান সেহা ডিজাইন বিডি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। সরকার পতনের পর প্রতিষ্ঠানটি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।

ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। বিজিএমইএর সাবেক এ সভাপতি তৈরি পোশাক ব্যবসার সঙ্গে রয়েছেন ১৯৯২ সাল থেকে। ওনার্স অ্যাপারেল লিমিটেড প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এ ব্যবসায় যুক্ত হন তিনি। এরপর পুষ্প গ্রুপ নামে পোশাক শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রতিবাদ করেছে ব্যবসায়ীদের একাংশ। বর্তমানে তারও কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

এদিকে নির্মাণ খাতেও আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন আওয়ামী লীগসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে রড, বালি, সিমেন্টের মতো পণ্য ক্রয়ে ক্রেতা চাহিদা একেবারেই নেই। আওয়ামী লীগ বিগত দেড় দশকে অবকাঠামো নির্মাণকেই দেশীয় উন্নতির প্রধান সূচক হিসেবে হাজির করেছিল। কিন্তু তাদের অনুপস্থিতিতে বড় সংকটে পড়েছে বিপুল বিনিয়োগের মাধ্যমে গড়ে ওঠা শিল্প-কারখানাগুলো।

দেশের ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক খাতের নানা ব্যবসায় সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন আওয়ামী লীগসংশ্লিষ্টরা। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চরম সংকটে পড়েছেন দলটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ীরা। জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের তীব্রতা ও সরকার পতনের আভাস পেয়ে অনেকে আগেই দেশ ছাড়েন। আবার কেউ কেউ আওয়ামী লীগের পতনের পর পালিয়ে যান। আবার আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের যেসব নেতা দেশ ছাড়তে পারেননি, তারা আত্মগোপনে রয়েছেন। ফলে আওয়ামী লীগ নেতাদের মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম এখন চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়ে গেছে।

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের ফলে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে দলটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলো। অনেক প্রতিষ্ঠানে হামলা ও ব্যাপক লুটপাটের ঘটনা ঘটছে। এমনকি কোনো কোনোটি বন্ধও হয়ে গেছে। কর্মহীন হয়ে পড়েছেন এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত বহু শ্রমিক। আবার এসব প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া হয়েছে। ব্যবসায়িক কার্যক্রম ব্যাহত হলে ঋণ পরিশোধে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। আর এসবের সামগ্রিক প্রভাব পড়বে দেশের অর্থনীতিতে।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সর্বশেষ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে মেয়র হন মো. আতিকুল ইসলাম। সরকার পতনের পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন তিনি। ১৯৮৫ সালে তৈরি পোশাক খাতে ব্যবসা শুরু করেন আতিকুল ইসলাম। গড়ে তোলেন ইসলাম গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ। সর্বশেষ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনের হলফনামা অনুযায়ী আতিকুলের তৈরি পোশাক কারখানাসহ ১৬টি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। বর্তমানে বিজিএমইএর সাবেক এ সভাপতির অনুপস্থিতিতে তার মালিকানাধীন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানগুলোর ভবিষ্যৎ ঝুঁকিতে পড়ে গেছে।

শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দফায় দফায় লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গাজী টায়ার্সের কারখানায়। প্রতিষ্ঠানটির কর্ণধার সাবেক পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। সর্বশেষ গত ২৫ আগস্ট কারখানাটিতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। এর আগে ও পরে কারখানাটিতে ব্যাপক মাত্রায় লুটপাটও চালানো হয়। পুরোপুরি অগ্নিভুত হয় কারখানাটির কাঁচামাল রাখার গুদাম। এতে হাজার কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। এ কারখানায় প্রায় আড়াই হাজার কর্মকর্তা ও শ্রমিক-কর্মচারী কর্মরত ছিলেন। ক্ষতিগ্রস্ত কারখানাটি শিগগিরই চালু না হলে শ্রমিকরা বেকার হয়ে যাবেন।

আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগর উত্তরের সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি। তিনি তৈরি পোশাক রফতানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএর ২০২৪-২৬ মেয়াদে সভাপতি নির্বাচিত হন। সরকার পতনের আগে তিনি পারিবারিক কারণে সিঙ্গাপুর যান। এসএম মান্নান কচি তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠান সেহা ডিজাইন বিডি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক। সরকার পতনের পর প্রতিষ্ঠানটি ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।

ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সাবেক সভাপতি শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিন। বিজিএমইএর সাবেক এ সভাপতি তৈরি পোশাক ব্যবসার সঙ্গে রয়েছেন ১৯৯২ সাল থেকে। ওনার্স অ্যাপারেল লিমিটেড প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে এ ব্যবসায় যুক্ত হন তিনি। এরপর পুষ্প গ্রুপ নামে পোশাক শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলেন।আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শফিউল ইসলাম মহিউদ্দিনের বিভিন্ন কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রতিবাদ করেছে ব্যবসায়ীদের একাংশ। বর্তমানে তারও কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।

এদিকে নির্মাণ খাতেও আধিপত্য বিস্তার করেছিলেন আওয়ামী লীগসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা। খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, দেশের সার্বিক পরিস্থিতিতে রড, বালি, সিমেন্টের মতো পণ্য ক্রয়ে ক্রেতা চাহিদা একেবারেই নেই। আওয়ামী লীগ বিগত দেড় দশকে অবকাঠামো নির্মাণকেই দেশীয় উন্নতির প্রধান সূচক হিসেবে হাজির করেছিল। কিন্তু তাদের অনুপস্থিতিতে বড় সংকটে পড়েছে বিপুল বিনিয়োগের মাধ্যমে গড়ে ওঠা শিল্প-কারখানাগুলো।

লেখক থেকে আরো

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Advertismentspot_img

সাম্প্রতিক সংবাদ

আরও কত বছর চাপে থাকবে বাংলাদেশের অর্থনীতি?

বাংলাদেশের অর্থনীতি আরও এক বছর চাপে থাকবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বলছে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন জিডিপি কমে ৪ শতাংশ হবে। তবে...

ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমছে কেন?

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমছে। এর ফলে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। বিশেষজ্ঞরা জানান, টাকার মান কমে যাওয়ার পেছেনে বেশ কিছু...

প্যারিসে গাড়ির প্রদর্শনীতে চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ির আধিপত্য

চীনা পণ্য আমদানিকে নিরুৎসাহিত করতে বরাবরই শুল্ক আরোপের চর্চা অব্যাহত রেখেছে পশ্চিমা বিশ্ব। এই ধারাবাহিকতায় চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ি আমদানিতে আগামী পাঁচ বছরে শুল্ক ১০...

সর্বশেষ খবরের সাথে আপ টু ডেট থাকতে চান?

আমরা আপনার কাছ থেকে শুনতে চাই! আপনার বিবরণ পূরণ করুন এবং আমরা আমাদের সকল আপডেট আপনাকে জানাবো।