হুমকি বাংলাদেশকে, অথচ কেনিয়া থেকে পালাচ্ছে আদানিরা …

সম্প্রতি বাংলাদেশকে চাপে ফেলতে বিদ্যুৎ বিক্রি বাবদ মোটা অংকের বকেয়ার কথা মনে করিয়ে দিয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আশীর্বাদ পুষ্ট আদানী গ্রুপ । বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ দেওয়া এবং বকেয়া নিয়ে চাপ সৃষ্টি করলেও সেই আদানি গ্রুপই এখন আফ্রিকার কেনিয়া থেকে পালাতে বাধ্য হচ্ছে।
কেনিয়ার নাইরবিতে যৌম কেনিয়াত্তা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চুক্তিভিত্তিক অধিগ্রহণের জন্য উদ্যোগী হয়েছিল আদানি গোষ্ঠী। আর তাতে ক্ষুব্ধ স্থানীয় বিমানবন্দর কর্মীরা। আদানিরা এলে স্থানীয় কর্মী ছাঁটাই করে বিদেশিদের কাজে নেয়া হবে , এমন শঙ্কায় গেল সোমবার ধর্মঘট করে , বিমান ক্ষেত্রের কর্মী সংগঠন কেনিয়া এভিয়েশন ওয়ারকার্স ইউনিয়ন।
চুক্তি বাস্তবায়িত হলে যৌম কেনিয়াত্তা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংস্কার এবং একটি অতিরিক্ত রানওয়ে তৈরির কথা ছিল আদানি গোষ্ঠীর । পরিবর্তে আগামী ৩০ বছর এই বিমানবন্দরের মালিকানা থাকত আদানিদের হাতে। শ্রমিক ইউনিয়নের ব্যাপক বিক্ষোবে শেষমেষ বিষয়টি গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। দেশের স্থানীয় একটি আদালত কেনিয়া সরকার ও আদানিদের এই চুক্তি বাস্তবায়নে জারি করেছে সাময়িক স্থগিতাদেশ। বিমানবন্দর সম্প্রসারণের দায়িত্ব, আদানি এয়ারপোর্ট হোল্ডিং লিমিটেডের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনায়, স্থগিতাদেশের ফলে কেনিয়ায় আদানী গোষ্ঠী পা রাখবে কিনা। এখন সেটি নিয়েও তৈরি হয়েছে উদ্বেগ।

কেনিয়ায় আদানিদের এমন দুরবস্থায় নতুন বিপদের গন্ধ পাচ্ছে ভারতের বিরোধীদল। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের শঙ্কা এই ঘটনা ভারতের বিরুদ্ধে জনমত গঠনে ইন্ধন জোগাতে পারে। এক্স হ্যান্ডালে তিনি লিখেছেন আদানিদের বিরুদ্ধে কেনিয়ার মানুষের আন্দোলন ভারত এবং ভারতের সরকারের বিরুদ্ধে রোসে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

যদিও শ্রমিক অসন্তোষের মাঝেও কেনিয়া সরকার বারবার বলছে বিমানবন্দরটি বিক্রি করা হচ্ছে না। এমনকি সংস্কারের চুক্তির বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সরকারের দাবি এটি সরকারি বেসরকারি যৌথ উদ্যোগ। বিমানবন্দর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কার হাতে থাকবে সেটিও চূড়ান্ত নয়। সরকারের আশ্বাস সর্তেও কেন শান্ত হচ্ছে না শ্রমিকেরা। সেটি নিয়েও বিস্তর জল খোলা হচ্ছে। ভারতীয় গণমাধ্যম গুলোর প্রশ্ন? এই ঘটনায় চীনের হাত নেই তো?
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম বলছে, প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর কেনিয়া, বর্তমানে বিপুল ঋণের জালে জড়িয়ে পড়েছে। চীনের কাছে কেনিয়ার ঋণের পরিমাণ এখনো অজানা। চীন ঋণের ফাঁদে জর্জরিত মধ্য এশিয়া আফ্রিকার বহুদেশ। অনেক গবেষকের দাবি চীনের কাছে কেনিয়ার ঋণের পরিমাণ ৫০ হাজার কোটি টাকা।
ভারতের চির প্রতিদ্বন্দ্বী চীন। এটা কখনোই মানতে পারেনি যে কেনিয়া বা আফ্রিকার অন্য দেশগুলোতে ভারত ভারতীয় সংস্থা বিনিয়োগ করবে। তাই কেনিয়ার বিমানবন্দরের কর্মী সংগঠনের এই বিক্ষোভের নেপথ্যে বেইজিং এর ষড়যন্ত্রের ছায়া দেখতে পাচ্ছে ভারতীয় গণমাধ্যম গুলো। শুধু তাই নয় এবার কেনিয়ার বিমানবন্দর পরিচালনার ভার না পাওয়া, কেনিয়া আদানি গোষ্ঠীর জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবেই মনে করছেন বহু বিশ্লেষক ।

সম্প্রতি বাংলাদেশকে চাপে ফেলতে বিদ্যুৎ বিক্রি বাবদ মোটা অংকের বকেয়ার কথা মনে করিয়ে দিয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আশীর্বাদ পুষ্ট আদানী গ্রুপ । বাংলাদেশকে বিদ্যুৎ দেওয়া এবং বকেয়া নিয়ে চাপ সৃষ্টি করলেও সেই আদানি গ্রুপই এখন আফ্রিকার কেনিয়া থেকে পালাতে বাধ্য হচ্ছে।
কেনিয়ার নাইরবিতে যৌম কেনিয়াত্তা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চুক্তিভিত্তিক অধিগ্রহণের জন্য উদ্যোগী হয়েছিল আদানি গোষ্ঠী। আর তাতে ক্ষুব্ধ স্থানীয় বিমানবন্দর কর্মীরা। আদানিরা এলে স্থানীয় কর্মী ছাঁটাই করে বিদেশিদের কাজে নেয়া হবে , এমন শঙ্কায় গেল সোমবার ধর্মঘট করে , বিমান ক্ষেত্রের কর্মী সংগঠন কেনিয়া এভিয়েশন ওয়ারকার্স ইউনিয়ন।
চুক্তি বাস্তবায়িত হলে যৌম কেনিয়াত্তা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সংস্কার এবং একটি অতিরিক্ত রানওয়ে তৈরির কথা ছিল আদানি গোষ্ঠীর । পরিবর্তে আগামী ৩০ বছর এই বিমানবন্দরের মালিকানা থাকত আদানিদের হাতে। শ্রমিক ইউনিয়নের ব্যাপক বিক্ষোবে শেষমেষ বিষয়টি গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। দেশের স্থানীয় একটি আদালত কেনিয়া সরকার ও আদানিদের এই চুক্তি বাস্তবায়নে জারি করেছে সাময়িক স্থগিতাদেশ। বিমানবন্দর সম্প্রসারণের দায়িত্ব, আদানি এয়ারপোর্ট হোল্ডিং লিমিটেডের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনায়, স্থগিতাদেশের ফলে কেনিয়ায় আদানী গোষ্ঠী পা রাখবে কিনা। এখন সেটি নিয়েও তৈরি হয়েছে উদ্বেগ।

কেনিয়ায় আদানিদের এমন দুরবস্থায় নতুন বিপদের গন্ধ পাচ্ছে ভারতের বিরোধীদল। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশের শঙ্কা এই ঘটনা ভারতের বিরুদ্ধে জনমত গঠনে ইন্ধন জোগাতে পারে। এক্স হ্যান্ডালে তিনি লিখেছেন আদানিদের বিরুদ্ধে কেনিয়ার মানুষের আন্দোলন ভারত এবং ভারতের সরকারের বিরুদ্ধে রোসে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

যদিও শ্রমিক অসন্তোষের মাঝেও কেনিয়া সরকার বারবার বলছে বিমানবন্দরটি বিক্রি করা হচ্ছে না। এমনকি সংস্কারের চুক্তির বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সরকারের দাবি এটি সরকারি বেসরকারি যৌথ উদ্যোগ। বিমানবন্দর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব কার হাতে থাকবে সেটিও চূড়ান্ত নয়। সরকারের আশ্বাস সর্তেও কেন শান্ত হচ্ছে না শ্রমিকেরা। সেটি নিয়েও বিস্তর জল খোলা হচ্ছে। ভারতীয় গণমাধ্যম গুলোর প্রশ্ন? এই ঘটনায় চীনের হাত নেই তো?
বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম বলছে, প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর কেনিয়া, বর্তমানে বিপুল ঋণের জালে জড়িয়ে পড়েছে। চীনের কাছে কেনিয়ার ঋণের পরিমাণ এখনো অজানা। চীন ঋণের ফাঁদে জর্জরিত মধ্য এশিয়া আফ্রিকার বহুদেশ। অনেক গবেষকের দাবি চীনের কাছে কেনিয়ার ঋণের পরিমাণ ৫০ হাজার কোটি টাকা।
ভারতের চির প্রতিদ্বন্দ্বী চীন। এটা কখনোই মানতে পারেনি যে কেনিয়া বা আফ্রিকার অন্য দেশগুলোতে ভারত ভারতীয় সংস্থা বিনিয়োগ করবে। তাই কেনিয়ার বিমানবন্দরের কর্মী সংগঠনের এই বিক্ষোভের নেপথ্যে বেইজিং এর ষড়যন্ত্রের ছায়া দেখতে পাচ্ছে ভারতীয় গণমাধ্যম গুলো। শুধু তাই নয় এবার কেনিয়ার বিমানবন্দর পরিচালনার ভার না পাওয়া, কেনিয়া আদানি গোষ্ঠীর জন্য একটি বড় ধাক্কা হিসেবেই মনে করছেন বহু বিশ্লেষক ।

লেখক থেকে আরো

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Advertismentspot_img

সাম্প্রতিক সংবাদ

আরও কত বছর চাপে থাকবে বাংলাদেশের অর্থনীতি?

বাংলাদেশের অর্থনীতি আরও এক বছর চাপে থাকবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বলছে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন জিডিপি কমে ৪ শতাংশ হবে। তবে...

ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমছে কেন?

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমছে। এর ফলে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। বিশেষজ্ঞরা জানান, টাকার মান কমে যাওয়ার পেছেনে বেশ কিছু...

প্যারিসে গাড়ির প্রদর্শনীতে চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ির আধিপত্য

চীনা পণ্য আমদানিকে নিরুৎসাহিত করতে বরাবরই শুল্ক আরোপের চর্চা অব্যাহত রেখেছে পশ্চিমা বিশ্ব। এই ধারাবাহিকতায় চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ি আমদানিতে আগামী পাঁচ বছরে শুল্ক ১০...

সর্বশেষ খবরের সাথে আপ টু ডেট থাকতে চান?

আমরা আপনার কাছ থেকে শুনতে চাই! আপনার বিবরণ পূরণ করুন এবং আমরা আমাদের সকল আপডেট আপনাকে জানাবো।