আবারো নতুন করে আলোচনায় সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্তির সুবিধায় গাড়ি আমদানির বিষয়টি। শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা শেখ হাসিনা সরকারের সাংসদ ও মন্ত্রীদের বিলাস বহুল ও গাড়ি আটকে গেছে চট্টগ্রাম বন্দরে।
সংসদ বিলুপ্ত হয়ে যাওয়ায় এসব গাড়ি শুল্ক পরিশোধ করে ছাড় করার নির্দেশনা দিয়েছে রাজস্ব বোর্ড।
শুল্কমুক্ত সুবিধায় আমার টয়োটা জীব ও ল্যান্ড ক্লুজার কিংবা মারসিটিস বেঞ্জ এর মতো, বিলাস বহুল এমন অনেক গাড়ি, আগে থেকেই আটকে ছিল। এর সাথে যুক্ত হল একইভাবে শুল্কমুক্ত সুবিধায় আনা সদ্য বিলুপ্ত সংসদের জন্য আনা গাড়িও।
সবশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর ৫১ জন সংসদ সদস্য শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি আমদানির উদ্যোগ নিয়ে খুলেছিলেন ঋণপত্র। যার মধ্যে ১০ জনের গাড়ি চলে আসে দেশে, ৬ জন গাড়ি ছাড়িয়ে নিলেও সংসদ বিলুপ্ত হওয়ায়, আটকে যায় বাকি ৪টি।
এর মধ্যে বগুড়া-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান মজনু ও সিরাজগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জান্নাত আরা হেনরী এর গাড়ির শুল্কায়ন শেষে খালাসের অপেক্ষায় ছিল। আর ময়মনসিংহ-৭ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম আনিসুজ্জামান এবং টাঙ্গাইল-৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অনুপম শাহজাহানের গাড়ির শুল্কায়ন শেষ হওয়ার আগেই ভেঙে দেওয়া হয় সংসদ।
এ দিয়ে কাস্টমসের পাশাপাশি বিপাকে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ। এসব গাড়ি নিলামে বিক্রির জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড সিদ্ধান্ত দিয়েছে। বন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে নিয়ম অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়ার কথা।
তবে বিলাসবহুল এসব গাড়ি ছাড় করাতে 810 শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক পরিশোধ করতে হবে। সে ক্ষেত্রে প্রতিটি গাড়ির বাংলাদেশি দাম হবে বাজারদরের চেয়ে অনেক বেশি।
এদিকে সংসদ সদস্যদের শুল্কমুক্ত সুবিধায় গাড়ি আমদানির সুযোগ দেয়াকে সম্পূর্ণ অনৈতিক ও বৈষম্য মূলক বলে মনে করছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। এই নীতি সংস্কারের দাবি তাদের।
আলোচিত ১০ টি গাড়ির মধ্যে, ছাড়িয়ে নেয়া ৬টি গাড়ির মালিক হলেন, সাবেক ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু, সাবেক মন্ত্রী ডক্টর আব্দুর রাজ্জাক, মোঃ এ আরাফাত এবং সাবেক সংসদ সদস্য ফেরদৌস, সাকিব আল হাসান ও ব্যারিস্টার সাইদুল হক সুমন