গ্যাস সংকটে ভুগছে পোশাক শিল্প কারখানা, নিরবচ্ছিন্ন সরবরাহের দাবি

গাজীপুরে গ্যাস সংকটে ভুগছে পোশাক শিল্প কারখানা। চাপ কম থাকায় অধিকাংশ কারখানায় সক্ষমতা অনুযায়ী উৎপাদনে যেতে পারেনি। এমতাবস্থায় অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে পোশাক শিল্পে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের দাবি শিল্পোদ্যোক্তাদের।

নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ না থাকা দেশের শিল্পের জন্য পুরানো সমস্যা। তবে, হালে এ নিয়ে দুশ্চিন্তা বেড়েছে শিল্পোদ্যোক্তাদের।

গাজীপুরে দুই হাজারের মতো শিল্প কারখানায় তিতাসের সংযোগ রয়েছে। এসব কারখানায় গ্যাসের চাহিদা রয়েছে দৈনিক ৫৯০ মিলিয়ন ঘনফুট। কিন্তু গ্রিড থেকে সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৪৬০ মিলিয়ন ঘনফুট। গ্যাস না পেয়ে অনেক প্রতিষ্ঠান বাধ্য হয়ে ব্যয়বহুল বিকল্প ব্যবস্থায় উৎপাদন প্রক্রিয়া চালু রাখতে গিয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এতে যেমন বাড়ছে উৎপাদন ব্যয়, তেমনি বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকাও কঠিন হয়ে পড়ছে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান এসব কারণ দেখিয়ে ঠিকভাবে বেতন-ভাতা পরিশোধ করছেন না।

অন্তর্বর্তী সরকারও শিল্পক্ষেত্রে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে গুরুত্ব দিচ্ছে। সরকারের এমন আশ্বাসে পোশাক শিল্প নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন শিল্পোদ্যোক্তারা।

বিজিএমইএ স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘উপদেষ্টা যে বলেছেন তিনি জ্বালানিতে প্রথম প্রায়োরিটি দেবেন, সেটা আমরা মনে করি যে টপ প্রায়োরিটি দিতে হবে। সেটা অতি শিগগিরই কীভাবে সংকটটা মোকাবিলা করা যায়। শিল্পের জন্য বিদ্যুৎ এবং গ্যাস অত্যাবশ্যকীয়।’

এডি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বদরুল হাসান তসলিম বলেন, ‘আমরা রিজার্ভ ভরপুর করে দিতে পারবো ইনশাআল্লাহ। আমাদের যদি নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি যদি সরবরাহ করা হয়।’

অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের স্বার্থে সরকারকে পোশাক শিল্পে টেকসই নীতিমালা প্রণয়নের জোরালো দাবি জানান শিল্প মালিকরা। এছাড়াও অবৈধ গ্যাস ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তাদের।

স্টাইলিশ গার্মেন্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদা চৌধুরী মিশা বলেন, ‘দেখা যাচ্ছে, আমি বায়ারের সাথে আজকে বসে যে প্রাইজটা নেগোসিয়েট করছি, ছয় মাস পরে ওই কাজটা এনে যখন প্রোডাকশনে দিচ্ছি, আমি দেখছি আমার কাছে কিছু নেই। দিন শেষে আমার লোন বাড়ছে। এজন্য সরকারের কাছে আমার জোড় দাবি, বাস্তবসম্মত সাস্টেইনেবল একটা পলিসি দিয়ে দেয়া।’

রাব্বানী ওয়াশিং লিমিটেডের কারখানা ব্যবস্থাপক মো. ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘আমাদের বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িতে যে অবৈধ গ্যাস লাইনগুলো আছে, সেগুলো যদি ডিসকানেক্ট করা যায়, তাহলে আমরা গ্যাসের প্রেসারগুলো খুব ভালো পাবো।’

গত কয়েক দশকের ব্যবধানে রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, লাখ লাখ নারী-পুরুষের কর্মসংস্থানসহ অনেক ক্ষেত্রে অবদান রেখে চলা এ পোশাক শিল্প সচল রাখার স্বার্থে গ্যাস সংকটের সমাধান জরুরি বলে মনে করছেন শিল্পোদ্যোক্তারা।

গাজীপুরে গ্যাস সংকটে ভুগছে পোশাক শিল্প কারখানা। চাপ কম থাকায় অধিকাংশ কারখানায় সক্ষমতা অনুযায়ী উৎপাদনে যেতে পারেনি। এমতাবস্থায় অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে পোশাক শিল্পে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের দাবি শিল্পোদ্যোক্তাদের।

নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ না থাকা দেশের শিল্পের জন্য পুরানো সমস্যা। তবে, হালে এ নিয়ে দুশ্চিন্তা বেড়েছে শিল্পোদ্যোক্তাদের।

গাজীপুরে দুই হাজারের মতো শিল্প কারখানায় তিতাসের সংযোগ রয়েছে। এসব কারখানায় গ্যাসের চাহিদা রয়েছে দৈনিক ৫৯০ মিলিয়ন ঘনফুট। কিন্তু গ্রিড থেকে সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৪৬০ মিলিয়ন ঘনফুট। গ্যাস না পেয়ে অনেক প্রতিষ্ঠান বাধ্য হয়ে ব্যয়বহুল বিকল্প ব্যবস্থায় উৎপাদন প্রক্রিয়া চালু রাখতে গিয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এতে যেমন বাড়ছে উৎপাদন ব্যয়, তেমনি বিশ্ববাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকাও কঠিন হয়ে পড়ছে। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান এসব কারণ দেখিয়ে ঠিকভাবে বেতন-ভাতা পরিশোধ করছেন না।

অন্তর্বর্তী সরকারও শিল্পক্ষেত্রে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহ নিশ্চিত করতে গুরুত্ব দিচ্ছে। সরকারের এমন আশ্বাসে পোশাক শিল্প নিয়ে নতুন করে স্বপ্ন দেখছেন শিল্পোদ্যোক্তারা।

বিজিএমইএ স্থায়ী কমিটির সদস্য মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘উপদেষ্টা যে বলেছেন তিনি জ্বালানিতে প্রথম প্রায়োরিটি দেবেন, সেটা আমরা মনে করি যে টপ প্রায়োরিটি দিতে হবে। সেটা অতি শিগগিরই কীভাবে সংকটটা মোকাবিলা করা যায়। শিল্পের জন্য বিদ্যুৎ এবং গ্যাস অত্যাবশ্যকীয়।’

এডি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বদরুল হাসান তসলিম বলেন, ‘আমরা রিজার্ভ ভরপুর করে দিতে পারবো ইনশাআল্লাহ। আমাদের যদি নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি যদি সরবরাহ করা হয়।’

অর্থনীতি ও কর্মসংস্থানের স্বার্থে সরকারকে পোশাক শিল্পে টেকসই নীতিমালা প্রণয়নের জোরালো দাবি জানান শিল্প মালিকরা। এছাড়াও অবৈধ গ্যাস ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়ার দাবি তাদের।

স্টাইলিশ গার্মেন্টস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাকসুদা চৌধুরী মিশা বলেন, ‘দেখা যাচ্ছে, আমি বায়ারের সাথে আজকে বসে যে প্রাইজটা নেগোসিয়েট করছি, ছয় মাস পরে ওই কাজটা এনে যখন প্রোডাকশনে দিচ্ছি, আমি দেখছি আমার কাছে কিছু নেই। দিন শেষে আমার লোন বাড়ছে। এজন্য সরকারের কাছে আমার জোড় দাবি, বাস্তবসম্মত সাস্টেইনেবল একটা পলিসি দিয়ে দেয়া।’

রাব্বানী ওয়াশিং লিমিটেডের কারখানা ব্যবস্থাপক মো. ইব্রাহিম খলিল বলেন, ‘আমাদের বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িতে যে অবৈধ গ্যাস লাইনগুলো আছে, সেগুলো যদি ডিসকানেক্ট করা যায়, তাহলে আমরা গ্যাসের প্রেসারগুলো খুব ভালো পাবো।’

গত কয়েক দশকের ব্যবধানে রপ্তানি আয় বৃদ্ধি, লাখ লাখ নারী-পুরুষের কর্মসংস্থানসহ অনেক ক্ষেত্রে অবদান রেখে চলা এ পোশাক শিল্প সচল রাখার স্বার্থে গ্যাস সংকটের সমাধান জরুরি বলে মনে করছেন শিল্পোদ্যোক্তারা।

লেখক থেকে আরো

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Advertismentspot_img

সাম্প্রতিক সংবাদ

আরও কত বছর চাপে থাকবে বাংলাদেশের অর্থনীতি?

বাংলাদেশের অর্থনীতি আরও এক বছর চাপে থাকবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বলছে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন জিডিপি কমে ৪ শতাংশ হবে। তবে...

ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমছে কেন?

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমছে। এর ফলে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। বিশেষজ্ঞরা জানান, টাকার মান কমে যাওয়ার পেছেনে বেশ কিছু...

প্যারিসে গাড়ির প্রদর্শনীতে চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ির আধিপত্য

চীনা পণ্য আমদানিকে নিরুৎসাহিত করতে বরাবরই শুল্ক আরোপের চর্চা অব্যাহত রেখেছে পশ্চিমা বিশ্ব। এই ধারাবাহিকতায় চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ি আমদানিতে আগামী পাঁচ বছরে শুল্ক ১০...

সর্বশেষ খবরের সাথে আপ টু ডেট থাকতে চান?

আমরা আপনার কাছ থেকে শুনতে চাই! আপনার বিবরণ পূরণ করুন এবং আমরা আমাদের সকল আপডেট আপনাকে জানাবো।