গেল আড়াই মাসে, পোশাক খাতে, প্রায় ৩০০ কোটি ডলারের ক্রয় আদেশ বাতিল হয়েছে। মূলত সাম্প্রতিক শ্রমিক অসন্তোষ ও ছাত্র আন্দোলনের কারণে। বেশ কিছু কার্যাদেশ বাতিল করেছে। বিদেশি ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো। যার প্রভাবে, এমন অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। ক্রেতাদের আস্থার সংকট দূর করতে না পারলে। সামনে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা ব্যবসায়ীদের।
সাম্প্রতিক অস্থিতিশীলতায় স্থবিরতা নেমেছে তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠানগুলোতে। রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা আর শ্রমিক অসন্তোষের কারণ দেখিয়ে। এরই মধ্যে ক্রিসমাস ও শীত মৌসুমকেন্দ্রিক। বেশ কিছু কার্যাদেশ বাতিল করেছে বিদেশী ক্রেতারা।
গাজীপুর, সাভার ও আশুলিয়ায় অবস্থিত অনেক পোশাক কারখানা। যেখানে কিছু কারখানায়, এরই মধ্যে ক্রয়-দেশ বাতিল করেছে, বিদেশি ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো। আবার অনেক প্রতিষ্ঠানে, বিদেশী ক্রেতাদের স্বশরীরে ভ্রমণের কথা থাকলেও। অস্থিতিশীল পরিস্থিতির কারণ দেখিয়ে , তা বাতিল করেছেন তারা। উদ্যোক্তাদের শঙ্কা , চলমান পরিস্থিতির কারণে, যে আনাস্থা তৈরি হয়েছে। তাতে অন্য দেশে চলে যেতে পারে এসব ক্রয় দেশ।
তৈরি পোশাক মালিকদের দাবি। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের আগের ১০ দিনে, তৈরি পোশাক খাতে দৈনিক, ১৬ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়েছে। আর সাম্প্রতিক শ্রমিক অসন্তোষের কারণে। গাজীপুর, সাভার, আশুলিয়ার তৈরি পোশাক খাতে দৈনিক ৩ থেকে ৪ কোটি ডলারের ক্ষতি হচ্ছে। সব মিলিয়ে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত। তৈরি পোশাক খাতে অন্তত, ৩০০ কোটি ডলারের, ক্রয় দেশ বাতিল হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
তথ্য বলছে, শ্রমিক অসন্তোষের জেরে গেলেও এক সপ্তাহে। গাজীপুর, সাভার ও আশুলিয়ার অন্তত ৫৫ টি কারখানা বন্ধ করেছে কর্তৃপক্ষ