হিমাগর মালিক ফরিয়া ও আরোদদারদের কারসাজির কারনে কমছে না আলুর দাম। অভিযোগ কৃষক ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের। মৌসুমীর শুরুতে ১৫ থেকে ২০ টাকার কেনা আলু। বিক্রি হচ্ছে 50 টাকায়। বগুড়ায় ৪২ টি হিমাগারী সংরক্ষণ করা হয়েছে ৩ লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন আলু। সংকট না থাকলেও বাজারে আলোর বাড়তি দামে ক্ষুব্দ ক্রেতারা।
আলুর বাজারে সিন্ডিকেট আছে নাকি নেই? ক্রেতাদের অভিযোগ বাজারে পণ্যটির পণ্যটির দামে প্রভাব না থাকায় এটি স্পষ্ট সিন্ডিকেট রয়েছে। দেশে আলু উৎপাদনের অন্যতম জেলা বগুড়া এই জেলায় গত মৌসুমে ৫৫ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে উৎপাদন হয়। ১১ লাখ ৯৩ হাজার ৬১৬ মেট্রিক টন আলু। যা জেলার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি।
জেলার ৪২টি হিমাগারি সংরক্ষণ করা হয় তিন লাখ ৪০ হাজার মেট্রিক টন। ব্যবসায়ীদের দাবি এবং ফেব্রুয়ারি মারার চেয়ে প্রতি কেজি আলু কৃষকদের কাছ থেকে কেজিপ্রতি ২০ টাকার কাছাকাছি দামে কিনতে হয়েছে ব্যবসায়ীদের। এর সাথে যোগ হয়েছে হিমাগার শ্রমিকসহ অন্যান্য খরচ।
যদিও কৃষকদের দাবি তারা আলু ১৫ টাকার বেশি বিক্রি করতে পারেনি। সিন্ডিকেটের মাধ্যমে গত কয়েক বছর ধরে হিমাগারে আলু সংরক্ষণ করে তিনগুণ মুনাফা করেন ব্যবসায়ীরা। জমিতে চাষাবাদ ও আলুর উৎপাদন কৃষি দপ্তরের হিসেবেও ফারাক রয়েছে। তবে আলোর সংকট নেই বাজার মনিটরিং হলে ন্যায্য দাম নিশ্চিত হবে।
কৃষি বিপণন ও সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য বলছে আলুর বার্ষিক চাহিদা ৮৫ লাখ থেকে ৯০ লাখ টন। মৌসুমী আলু উৎপাদন হয়েছে ১ কোটি ১০ লাখ টনের কাছাকাছি। এই হিসেবে চাহিদার বিপরীতে প্রায় ২০ লাখ টনের মত উদ্বিত হওয়ার কথা। অভিযোগ, কাসাজির কারণে এবার ন্যায্যদামে আলু কিনতে পারেনি ক্রেতারা