চলতি বছরে মধ্যপ্রাচ্যে পর্যটন আয়ে এগিয়ে থাকবে সৌদি আরব, এরপর রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত । সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে এ পূর্বাভাস দিয়েছে ওয়ার্ল্ড ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরিজম কাউন্সিল ডব্লিউটিটিসি।
ভ্রমণ ও পর্যটনের অর্থনৈতিক প্রভাব সম্পর্কিত এ প্রতিবেদন অনুসারে, বৈশ্বিক ভ্রমণ শিল্পে সৌদি আরবের অবস্থান ষষ্ঠ। এ খাতে চলতি বছরে ৬ হাজার ৬০ কোটি ডলার ব্যয়ের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছিল ২০২৩ সালে। তবে সাম্প্রতিক পূর্বাভাস বলছে, দেশটিতে খরচ ৬ হাজার ৮৩০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
অন্যদিকে ইউএই বৈশ্বিক পর্যটন ব্যয়ে দশম বৃহত্তম গন্তব্য হতে যাচ্ছে। চলতি বছর দেশটিতে আন্তর্জাতিক দর্শনার্থীরা ৫ হাজার ২২০ কোটি ডলার খরচ করতে পারেন, যা ২০২৩ সালের তুলনায় ৯ দশমিক ৪ শতাংশ বেশি।
চলতি বছর মধ্যপ্রাচ্যের বিস্তৃত অঞ্চলে আন্তর্জাতিক দর্শনার্থীদের ব্যয় ১০ দশমিক ১ শতাংশ বাড়তে পারে, যা ২০১৯ সালে প্রাক-কভিড স্তরের ৫ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি ছাড়িয়ে যাবে।
২০২৪-৩৪ সালের মধ্যে এ অঞ্চলের জিডিপিতে পর্যটন খাতের অবদান বছরপ্রতি ৩ দশমিক ৯ শতাংশ বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে, যা বৃহত্তর আঞ্চলিক অর্থনীতির জন্য ২ দশমিক ৪ শতাংশ বার্ষিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি।
জিডিপিতে এ খাতের মোট অবদান ২০৩৪ সালের মধ্যে ৭৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলারে পৌঁছতে পারে, যা সমগ্র আঞ্চলিক অর্থনীতির ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। ডব্লিউটিটিসির প্রতিবেদন অনুসারে, এ প্রবৃদ্ধির সঙ্গে ২১ লাখ কর্মসংস্থান বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে এবং মোট কর্মসংস্থান ২০৩৪ সালে ১ কোটি ৪ লাখে পৌঁছবে বা মধ্যপ্রাচ্যে প্রতি নয়টি কাজের মধ্যে একটিতে পরিণত হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
ডব্লিউটিটিসির প্রতিবেদন অনুসারে, ২০২৪ সালের বিশ্ব অর্থনীতিতে ভ্রমণ ও পর্যটন খাতের অবদান সর্বকালের সর্বোচ্চ ১১ দশমিক ১ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছবে। এ খাতে প্রায় ৩৪ কোটি ৮০ লাখ কর্মসংস্থান হবে, যেখানে ২০১৯ সালে ১ কোটি ৩৬ লাখ ছিল রেকর্ড বৃদ্ধি।
এ বছর বিশ্বজুড়ে ব্যবসায়িক ভ্রমণে ১ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় হতে পারে, যা ২০১৯ সালের তুলনায় ৬ দশমিক ২ শতাংশ বেশি