বৈশ্বিক নানা সংকটের মধ্যেও ভারতের প্রকৌশল খাত ভালো করছে। রপ্তানি বাড়ছে। মূলত রাশিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব ও বিস্ময়করভাবে চীন ভারতের প্রকৌশল পণ্য কিনছে। তাদের বদৌলতে দেশটির প্রকৌশল খাতের এই বাড়বাড়ন্ত।
চলতি বছরের এপ্রিল-আগস্ট সময়ে ভারতের প্রকৌশল পণ্য রপ্তানি গত বছরের একই সময়ে তুলনায় ৪ দশমিক ২২ শতাংশ বেড়েছে। এ সময় ভারতের প্রকৌশল পণ্য রপ্তানি হয়েছে মোট ৪৬ দশমিক ১১ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৬১১ কোটি ডলারের; আগের বছরের একই সময় যা ছিল ৪৪ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন বা ৪ হাজার ৪৫৩ কোটি ডলারের।
ভারতের প্রকৌশল পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধিতে রাশিয়ার বিশেষ ভূমিকা আছে। ভারত এই সময়ে অর্থাৎ এপ্রিল–আগস্ট সময়ে যত প্রকৌশল পণ্য রপ্তানি করেছে, তার ৪০ শতাংশ কিনেছে রাশিয়া। প্রথমত, রুপি-রুবল বাণিজ্যের যে বন্দোবস্ত দেশ দুটি করেছে, তার আলোকে রাশিয়া ভারত থেকে কিছু পণ্য বাড়তি কিনছে।
চীন ভারত থেকে প্রকৌশল পণ্য কেনা বাড়িয়েছে, যদিও তাদের অর্থনীতির গতি কমে গেছে। এর মধ্যেও চলতি বছরের এপ্রিল-আগস্ট সময়ে ভারত থেকে চীনের প্রকৌশল পণ্য কেনা বেড়েছে ১১ দশমিক ৩ শতাংশ; অর্থ মূল্যে তা এক বিলিয়ন বা ১০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের সহযোগিতার সম্পর্ক বাড়ছে।সৌদি আরবের সঙ্গেও ভারতের মুক্তবাণিজ্য চুক্তির বিষয়ে আলোচনা হচ্ছে; এই বাস্তবতায় তারাও ভারতের কাছে থেকে আমদানি বাড়িয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পর ভারতের প্রকৌশল পণ্যের সবচেয়ে বড় গন্তব্য হচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও সৌদি আরব, অর্থাৎ যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানে আছে তারা। এই দুটি দেশ ভারতের কাছে থেকে বিপুল পরিমাণে মোটরগাড়ি কিনছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত কিনছে বিশেষ করে বিমান, মহাশূন্যযান, জাহাজ ও নৌকার সরঞ্জাম।
চলতি অর্থবছরে ভারতের প্রকৌশল পণ্য রপ্তানির পরিমাণ ১১৫ থেকে ১২২ বিলিয়ন বা ১১ হাজার ৫০০ বা ১২ হাজার ২০০ কোটি ডলারে উঠতে পারে; গত বছরের একই সময়ে যা ছিল ১০৯ দশমিক ৩২ বিলিয়ন বা ১০ হাজার ৩২০ কোটি ডলার