অর্থ পাচার ও সন্ত্রাসবাদে অর্থায়নের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা হিসেবে ২০২৩ সালে বেশকিছু সম্পদ জব্দ করেছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। এর আর্থিক পরিমাণ ২৩০ কোটি ৪৮ লাখ দিরহাম বা ৬৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার।
দেশটির অর্থপাচার প্রতিরোধ বিষয়ক সংস্থার মতে, জ্বালানি তেল থেকে নির্ভরতা কমাতে কয়েক দশক ধরে বৈচিত্র্যপূর্ণ খাতে স্থানীয় ও বিদেশী ব্যবসায়ীদের উদ্বুদ্ধ করছে ইউএই। এ কারণে দুবাই, আবুধাবির মতো শহরগুলো দিচ্ছে নীতি সুবিধা। এর উল্টো পিঠে ইউএইর প্রধান অঞ্চলগুলো হয়ে উঠেছে অর্থ পাচারের অন্যতম গন্তব্য।
এ সময় দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক মাঠ পর্যায়ে ১১৫টির বেশি ঘটনা তদন্ত করেছে। এ বাবদ জরিমানা আদায় হয়েছে ৩ কোটি ১০ লাখ ডলার। অন্যদিকে ৩ হাজার ৩৭১টি পরিদর্শনের পর অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় ২ কোটি ৭০ লাখ ডলার জরিমানা করেছে।
অর্থ পাচারের মতো বেআইনি লেনদেনে স্বর্ণ পরিশোধন খাতের সম্পর্ক পাওয়া গেছে। ২০২১ সালের এ ধরনের ২২৩টি সন্দেহজনক কার্যকলাপ নথিভুক্ত করা হয়। কিন্তু ২০২৩ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ৪৩২টিতে, যা উচ্চতর সচেতনতা ও সতর্কতা নির্দেশ করে বলে মন্তব্য করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
আগের বছরের তুলনায় আরব আমিরাতে ২০২৩ সালে স্বর্ণ খাতে অপরাধমূলক ঘটনায় তদন্ত প্রায় ২০ গুণ বেড়েছে। এসব ঘটনায় ২ কোটি ১০ লাখ জরিমানা করা হয়েছে।
অর্থ পাচার প্রতিরোধে একাধিক পক্ষের সঙ্গে কাজ করছে আরব আমিরাত। এরই মধ্যে ৪৫টি আইনি সহযোগিতামূলক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। এছাড়া ২০২৪ ও ২০২৫ সালের মধ্যে আরো কিছু সমঝোতায় স্বাক্ষর করবে দেশটি