সিন্ডিকেটের কবজায় ইন্টারনেটেও রাজত্ব সামিটের

শেখ হাসিনা সরকারের আমলের রাজনৈতিক আশীর্বাদে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দেয়ায় ইন্টারনেট সেবায় একক কর্তৃত্ব হারিয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল পিএলসি। একসময় একক নিয়ন্ত্রণ থাকলেও বর্তমানে দেশের চাহিদার অর্ধেকেরও কম ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানটি। বাকি অর্ধেকের বেশি সরবরাহ করে বেসরকারি ৭টি কোম্পানি। যদিও চাহিদার চেয়ে বেশি সরবরাহের সক্ষমতা আছে সরকারি প্রতিষ্ঠানটির।

জানা গেছে, দেশে বর্তমান চাহিদা প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৬ হাজার জিবিপিস। সরকারি প্রতিষ্ঠানের ৭ হাজার ২০০ জিবিপিএস সরবরাহের সক্ষমতা থাকলেও দিচ্ছে ২ হাজার ৭০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ। অন্যদিকে, আইটিসির লাইসেন্সপ্রাপ্ত ৭টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সরবরাহ করছে ৩ হাজার ৩০০ জিবিপিএস।

যেখানে শুধু সামিটই গ্রুপই সরবরাহ করে ৮০ শতাংশ।বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সরবরাহ বৃদ্ধির কারণে সরকার হারাচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব। সক্ষমতা থাকার পরও কেন সরকারি প্রতিষ্ঠানের ব্যান্ডউইথ বিক্রি কমে যাচ্ছে—এর কারণ অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। বিগত সরকারের আমলের রাজনৈতিক বিবেচনায় এবং কাছের লোকদের মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোকে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা দেওয়া হয়। ফলে সরকারি কোম্পানিটির সরবরাহের পরিমাণ অর্ধেকেরও নিচে নেমে আসে।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে দেশের সাবমেরিন কেবল এর মাধ্যমে ব্যান্ডউইথ আমদানি করে ইন্টারনেট সেবা দিয়ে আসছিল বিএসসিপিএলসি। অন্যদিকে, ইন্টারন্যাশনাল টেরিসট্রিয়াল কেবল লাইসেন্স নিয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে ব্যান্ডউইথ আমদানি করে।বিকল্প হিসেবে সামিটসহ ৭টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে আইটিসি লাইসেন্স দেওয়া হয়। কিন্তু বর্তমানে বেসরকারি কোম্পানিগুলোই নিয়ন্ত্রণ করছে দেশের ইন্টারনেট ব্যবসা।

বিটিআরসির রেভিনিউ শেয়ারিং নীতিমালায় সরকারি প্রতিষ্ঠানকে লভ্যাংশের ৩ শতাংশ রাজস্ব দেওয়ার বিধান থাকলেও দেয়া হচ্ছে মাত্র এক শতাংশ। এদিকে, প্রয়োজন না থাকলেও বেসরকারি খাতে সাবমেরিনের লাইসেন্স: বিএসসিপিএলসির সক্ষমতা বাড়াতে নতুন করে হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ করে তৃতীয় সাবমেরিন কেবল সিমিউই-৬ প্রকল্প চলমান রয়েছে, যা ২০২৫ সালে শেষ হবে। যার মধ্যমে ১৩ হাজার ২০০ জিবিপিএস অতিরিক্ত ব্যান্ডউইথ সরবরাহ সম্ভব হবে । যা বর্তমান চাহিদার তিন গুণেরও বেশি।

এদিকে, সাবমেরিন কেবল পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণে বছরে ৫০-৬০ কোটি টাকা খরচ হয়। তৃতীয়টি চালু হলে খরচ হবে প্রায় শতকোটি টাকা। ব্যান্ডউইথ বিক্রি না হলে ব্যয় উঠে আসাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। তৃতীয় সাবমেরিন কেবল চালু হলে যেখানে সরকারি প্রতিষ্ঠানের চাহিদার প্রায় তিন গুণ সক্ষমতা বাড়বে, সেখানে বেসরকারি খাতে সাবমেরিন কেবলের লাইসেন্স দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন খাত সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা

শেখ হাসিনা সরকারের আমলের রাজনৈতিক আশীর্বাদে। বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দেয়ায় ইন্টারনেট সেবায় একক কর্তৃত্ব হারিয়েছে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল পিএলসি। একসময় একক নিয়ন্ত্রণ থাকলেও বর্তমানে দেশের চাহিদার অর্ধেকেরও কম ব্যান্ডউইথ সরবরাহ করে রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানটি। বাকি অর্ধেকের বেশি সরবরাহ করে বেসরকারি ৭টি কোম্পানি। যদিও চাহিদার চেয়ে বেশি সরবরাহের সক্ষমতা আছে সরকারি প্রতিষ্ঠানটির।

জানা গেছে, দেশে বর্তমান চাহিদা প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৬ হাজার জিবিপিস। সরকারি প্রতিষ্ঠানের ৭ হাজার ২০০ জিবিপিএস সরবরাহের সক্ষমতা থাকলেও দিচ্ছে ২ হাজার ৭০০ জিবিপিএস ব্যান্ডউইডথ। অন্যদিকে, আইটিসির লাইসেন্সপ্রাপ্ত ৭টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সরবরাহ করছে ৩ হাজার ৩০০ জিবিপিএস।

যেখানে শুধু সামিটই গ্রুপই সরবরাহ করে ৮০ শতাংশ।বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সরবরাহ বৃদ্ধির কারণে সরকার হারাচ্ছে হাজার হাজার কোটি টাকার রাজস্ব। সক্ষমতা থাকার পরও কেন সরকারি প্রতিষ্ঠানের ব্যান্ডউইথ বিক্রি কমে যাচ্ছে—এর কারণ অনুসন্ধানে পাওয়া গেছে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। বিগত সরকারের আমলের রাজনৈতিক বিবেচনায় এবং কাছের লোকদের মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোকে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা দেওয়া হয়। ফলে সরকারি কোম্পানিটির সরবরাহের পরিমাণ অর্ধেকেরও নিচে নেমে আসে।

অনুসন্ধানে দেখা গেছে দেশের সাবমেরিন কেবল এর মাধ্যমে ব্যান্ডউইথ আমদানি করে ইন্টারনেট সেবা দিয়ে আসছিল বিএসসিপিএলসি। অন্যদিকে, ইন্টারন্যাশনাল টেরিসট্রিয়াল কেবল লাইসেন্স নিয়ে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে ব্যান্ডউইথ আমদানি করে।বিকল্প হিসেবে সামিটসহ ৭টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে আইটিসি লাইসেন্স দেওয়া হয়। কিন্তু বর্তমানে বেসরকারি কোম্পানিগুলোই নিয়ন্ত্রণ করছে দেশের ইন্টারনেট ব্যবসা।

বিটিআরসির রেভিনিউ শেয়ারিং নীতিমালায় সরকারি প্রতিষ্ঠানকে লভ্যাংশের ৩ শতাংশ রাজস্ব দেওয়ার বিধান থাকলেও দেয়া হচ্ছে মাত্র এক শতাংশ। এদিকে, প্রয়োজন না থাকলেও বেসরকারি খাতে সাবমেরিনের লাইসেন্স: বিএসসিপিএলসির সক্ষমতা বাড়াতে নতুন করে হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ করে তৃতীয় সাবমেরিন কেবল সিমিউই-৬ প্রকল্প চলমান রয়েছে, যা ২০২৫ সালে শেষ হবে। যার মধ্যমে ১৩ হাজার ২০০ জিবিপিএস অতিরিক্ত ব্যান্ডউইথ সরবরাহ সম্ভব হবে । যা বর্তমান চাহিদার তিন গুণেরও বেশি।

এদিকে, সাবমেরিন কেবল পরিচালন ও রক্ষণাবেক্ষণে বছরে ৫০-৬০ কোটি টাকা খরচ হয়। তৃতীয়টি চালু হলে খরচ হবে প্রায় শতকোটি টাকা। ব্যান্ডউইথ বিক্রি না হলে ব্যয় উঠে আসাই চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। তৃতীয় সাবমেরিন কেবল চালু হলে যেখানে সরকারি প্রতিষ্ঠানের চাহিদার প্রায় তিন গুণ সক্ষমতা বাড়বে, সেখানে বেসরকারি খাতে সাবমেরিন কেবলের লাইসেন্স দেওয়ার প্রয়োজনীয়তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন খাত সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞরা

লেখক থেকে আরো

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Advertismentspot_img

সাম্প্রতিক সংবাদ

আরও কত বছর চাপে থাকবে বাংলাদেশের অর্থনীতি?

বাংলাদেশের অর্থনীতি আরও এক বছর চাপে থাকবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বলছে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন জিডিপি কমে ৪ শতাংশ হবে। তবে...

ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমছে কেন?

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমছে। এর ফলে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। বিশেষজ্ঞরা জানান, টাকার মান কমে যাওয়ার পেছেনে বেশ কিছু...

প্যারিসে গাড়ির প্রদর্শনীতে চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ির আধিপত্য

চীনা পণ্য আমদানিকে নিরুৎসাহিত করতে বরাবরই শুল্ক আরোপের চর্চা অব্যাহত রেখেছে পশ্চিমা বিশ্ব। এই ধারাবাহিকতায় চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ি আমদানিতে আগামী পাঁচ বছরে শুল্ক ১০...

সর্বশেষ খবরের সাথে আপ টু ডেট থাকতে চান?

আমরা আপনার কাছ থেকে শুনতে চাই! আপনার বিবরণ পূরণ করুন এবং আমরা আমাদের সকল আপডেট আপনাকে জানাবো।