সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমছে। এর ফলে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে অস্থিরতা বিরাজ করছে।
বিশেষজ্ঞরা জানান, টাকার মান কমে যাওয়ার পেছেনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। এর মধ্যে দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থা ও মুদ্রাস্ফীতি অন্যতম।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের জুলাই মাসে এক মার্কিন ডলার বিক্রি হতো ১০৯ টাকায়, যা বর্তমানে ১২০ টাকায় ঠেকেছে। অর্থাৎ এক বছরের কিছুটা বেশি সময়ে প্রতি ডলারের দর বেড়েছে ১১ টাকা।
দেশের অর্থনীতির অবস্থা মুদ্রার মানকে প্রভাবিত করে। যদি একটি দেশের অর্থনীতি দুর্বল হয় বা স্থিতিশীল না থাকে, তবে সেই দেশের মুদ্রার মান কমে যেতে পারে।
বর্তমানে বাংলাদেশের অর্থনীতি দুর্বল অবস্থায় রয়েছে, আর এজন্য টাকার মান ডলারের তুলনায় কম।
যখন দেশে মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যায়, তখন মুদ্রার ক্রয় ক্ষমতা কমে যায়। এর ফলে টাকা ডলারের তুলনায় কম মূল্যবান হয়ে পড়ে।
যদি একটি দেশের আমদানি বেশি এবং রপ্তানি কম হয়, তবে সেই দেশের মুদ্রার চাহিদা কমে যায়। এটি ডলারের তুলনায় টাকার মান কমিয়ে দেয়।
যদি বিদেশি বিনিয়োগকারীরা একটি দেশে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী না হন, তবে সেই দেশের মুদ্রার মূল্য কমে যেতে পারে। দেশের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা এখানে গুরুত্বপূর্ণ।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিগুলোও মুদ্রার মান প্রভাবিত করে। যদি কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদহার কমিয়ে দেয় বা অতিরিক্ত টাকা ছাপায়, তবে মুদ্রার মান কমে যেতে পারে।
ডলারের তুলনায় টাকার মান কম হওয়ার পেছনে একাধিক কারণ কাজ করে। একটি দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের পরিস্থিতি টাকার মান কমার পেছনে ভূমিকা পালন করে