দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে মন্দা সময় পার করছে দেশের পুঁজিবাজার। সূচকের পতন ঢেকাতে একাধিকবার ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসসি। ঘোষণা দেওয়া হয়। তদারকীর মাধ্যমে কারসাজি বন্ধের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে খুব একটা সুফল মেলেনি। কয়েক দিনের জন্য স্বাভাবিক আচরণ করলেও। আবার ফিরে গেছে পতনের ধারায়।
ডিএসসির হিসাব বলছে গেল এক বছরে। ডিএসসির সুচক কমেছে ৫৭৫ পয়েন্ট। আর বাজার মূলধন হারিয়েছে ৮৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। বাজারের এমন মন্দার কারণ হিসেবে বারবারই বাজার কারসাজিকে দায়ী করে আসছেন বিশ্লেষকরা।
উৎপাদনে না থাকা। কিংবা কোন রকম চালু রাখা কোম্পানির শেয়ারদর বারে লাফিয়ে লাফিয়ে। অভিযোগ আছে, খুলনা প্রিন্টিং অ্যান্ড প্যাকেজিং , খান ব্রাদার্স, পিপি ওভেন, ইমাম বাটন, আজিজ পাইপস, জুট স্পিনারস, শ্যামপুর সুগার মিলস, ইয়াকিন পলিমার সহ একাধিক কোম্পানির শেয়ার দর, কারসাজি করে বিভিন্ন সময়ে বাড়ানো হয়। সেই সাথে আছে, ভালো কোম্পানি শেয়ারের অভাব। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের বাজার বিমুখতা। আর ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতা ।
খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বিগত কমিশনের সময় বারবার নীতি পরিবর্তন হলেও বাস্তবায়ন হয়নি। উল্টো ইনসাইট ট্রেডার সহ, অবৈধ সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। কারসাজির কারণে পুঁজি হারিয়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। এ ধরনের কারসাজি ঠেকাতে। ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি। ভালো কোম্পানিকে তালিকাভুক্ত করার তাগিদ সংশ্লিষ্টদের।
এর পাশাপাশি পুজিবাজারে আস্থা ফেরাতে। নিয়ন্ত্রণ সংস্থাকে দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান বিশ্লেষকদের। পণ্যের বৈচিত্র করণের পাশাপাশি। বন মার্কেটের দিকে নজর দেওয়ার কথাও জানান তারা।
শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর। সপ্তাহখানেক চাঙ্গা ভাব দেখা যায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের। সার্বিক সূচক ওঠে ৬০০০ পয়েন্ট এর উপরে। লেনদেন ছাড়িয়ে যায় ২০০০ হাজার কোটি টাকা। তবে এরপর আবারো বাজার ফিরে গেছে আগের অবস্থাতেই। এখন পর্যন্ত, ডিএসসির প্রধান সূচক ডিএসসিএস দাঁড়িয়েছে ৫৬৩৯ পয়েন্টে। আর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৮৫ হাজার ৬২১ কোটি টাকা