বাংলাদেশে নতুন করে সবুজ কারখানা হিসেবে স্বীকৃতি পেল আরও তিনটি তৈরি পোশাক কারখানা। এতে দেশের পোশাক খাতে পরিবেশবান্ধব কারখানার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২২৯টিতে। আর নতুন এই কারখানাসহ বিশ্বসেরা ১০০টি পোশাক কারখানার মধ্যে ৬১টিই বাংলাদেশের। ইউনাইটেড স্টেটস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল ইউএসজিবিসি এ স্বীকৃতি দিয়েছে।
বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি বিজিএমইএ এর তথ্য মতে, এখন পর্যন্ত দেশের পোশাক ও বস্ত্র খাতের ২২৯টি কারখানা লিড সনদ পেয়েছে। এর মধ্যে লিড প্লাটিনাম ৯১টি কারখানা, লিড গোল্ড ১২৪টি, সিলভার ১০টি ও সার্টিফায়েড চারটি।
এ নিয়ে লিড স্বীকৃতি পাওয়া নতুন এই কারখানাগুলোসহ বিশ্বসেরা ১০০টি পোশাক কারখানার মধ্যে ৬১টিই বাংলাদেশের। আর বিশ্বসেরা প্রথম ২৪টির মধ্যে ২২টির অবস্থান বাংলাদেশে। সবুজ পোশাক কারখানা স্থাপনে দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা পাকিস্তানে রয়েছে ৯টি, ভারতে সাতটি, তাইওয়ান ও শ্রীলঙ্কায় চারটি করে ও পোশাক রফতানিকারক শীর্ষ দেশ চীনে রয়েছে মাত্র তিনটি।
নতুন সবুজ কারখানার সনদ পাওয়া কারখানাগুলো হলো ইউনিটেক্স স্পিনিং লিমিটেড, সেপাল গার্মেন্টস লিমিটেড ও অনন্ত হুযাক্সিয়াং লিমিটেড। এর মধ্যে ইউনিটেক্স স্পিনিং লিমিটেড ৮৩ পয়েন্ট ও সেপাল গার্মেন্টস লিমিটেড ৮৫ পয়েন্ট নিয়ে প্লাটিনাম রেটিং পেয়েছে। আর অনন্ত হুযাক্সিয়াং লিমিটেড ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে অর্জন করেছে গোল্ড রেটিং।
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের ইউএস গ্রিন বিল্ডিং কাউন্সিল ইউএসজিবিসি ‘লিড’ নামে পরিবেশবান্ধব স্থাপনার সনদ দেয়। লিডের পূর্ণাঙ্গ রূপ লিডারশিপ ইন এনার্জি অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল ডিজাইন। এ সনদ পেতে একটি প্রকল্পকে ইউএসজিবিসির তত্ত্বাবধানে নির্মাণ থেকে উৎপাদন পর্যন্ত বিভিন্ন বিষয়ে সর্বোচ্চ মান রক্ষা করতে হয়।
মূলত ভবন নির্মাণের পর কিংবা পুরোনো ভবন সংস্কার করেও প্রতিষ্ঠানটিতে আবেদন করা যায়। লিড সনদের জন্য ৯টি শর্ত পরিপালনে মোট পয়েন্ট ১১০। এর মধ্যে ৮০ পয়েন্টের ওপরে হলে ‘লিড প্লাটিনাম’, ৬০-৭৯ হলে ‘লিড গোল্ড’, ৫০-৫৯ হলে ‘লিড সিলভার’ এবং ৪০-৪৯ পয়েন্ট হলে ‘লিড সার্টিফায়েড’ সনদ পাওয়া যায়।
দূষণমুক্ত পৃথিবী গড়ার লক্ষ্যেই সবুজ বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ; যা ক্রয়াদেশ পাওয়ার প্রতিযোগিতায় এগিয়ে রাখবে তাদের। তবে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা না ফিরলে কঠিন হয়ে পড়বে এসব অর্জনের সুফল ঘরে তোলা