সম্প্রতি বন্যার কবলে পড়ে কুমিল্লা নোয়াখালী ফেনিসহ দেশের ১১ টি জেলা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অবকাঠামো ঘরবাড়ি আর ফসলের। এসে গেছে বিপুল পরিমাণ মাছ এমন ক্ষয়ক্ষতির ঠিক পরিমাণ কেমন কোন খাত বা কোন জেলায় সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে এমন সব প্রশ্নের জবাব খোঁজার চেষ্টা করেছে গবেষণার সংস্থা সিপিডি। যেখানে দেখা যায় বন্যার কারণে দেশের আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা যা চলতি অর্থবছরের বাজেটের এক দশমিক আট এক শতাংশ। আর মোট দেশজো উৎপাদন বা জিডিপির শূন্য দশমিক দুই ছয় শতাংশ।
মোট ক্ষতিকে শিক্ষা স্বাস্থ্য কৃষি সহ ছয় ভাগে ভাগ করে দেখিয়েছে সিপিড। তাদের হিসেবে বন্যার প্রভাবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কৃষিখাতে ৫,১৬৯ কোটি টাকার। প্রায় সাড়ে চার হাজার কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে অবকাঠামো খাতে। তৃতীয় সর্বোচ্চ ক্ষতিগ্রস্ত খাত বসতবাড়ি। স্বাস্থ্য খাতেও ক্ষতি হয়েছে দুই হাজার কোটি টাকার বেশি। এরপরেই আছে শিক্ষা ও শিল্প খাত।
সিপিডির গবেষণা অনুযায়ী একক জেলায় হিসেবে বন্যায় সবচেয়ে বেশি ৪১৯১ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে নোয়াখালী জেলায়। কুমিল্লা জেলায় ক্ষতি হয়েছে ৩৩৯০ কোটি টাকার। ফেনীতে ক্ষতি আড়াই হাজার কোটি টাকার। চট্টগ্রামে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ১,৬৭৬ কোটি টাকার আর লক্ষীপুরে ১৪০০ কোটি টাকা। এছাড়াও অন্যান্য ৬ জেলায় গড়ে পৌনে ২০০ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। বন্যার কারণে সামনের দিনে খাদ্য সংকট তৈরি হতে পারে বলে শঙ্কা জানিয়েছেন সিপিডি। জন্য এখন থেকেই খাদ্য পণ্যের আমদানির প্রস্তুতি শুল্ক কমানো সহ সার বীজের পর্যাপ্ত সরবরাহ নিশ্চিতের তাকি দিয়েছে সংস্থাটি।
সিপিডির পক্ষ থেকে জানানো হয়। বন্যার প্রস্তুতি ও ব্যবস্থাপনার জন্য নিতে হবে বিজ্ঞানসম্মত ব্যবস্থা। এজন্য সরকারকে একটি কমিটি গঠনের তাগি দিয়েছেন। একই সাথে বাজেটে দুর্যোগ মোকাবেলার জন্য বরাদ্দ বাড়ানোর জোর দিয়েছে সংস্থাটি।