পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, বড় কর্মকর্তার (অফিসার) বড় গাড়ি, বড় বাড়ি—এসব জায়গায় পরিবর্তন আনতে হবে। এখন সব ক্ষেত্রে কৃচ্ছ্রসাধন চলছে। মন্ত্রী আজ সোমবার বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ও নাগরিক প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আজ সকালে ‘আইএমএফের সময়কালে অসুবিধাগ্রস্ত মানুষের কথা জাতীয় বাজেটে কীভাবে প্রতিফলিত হতে পারে’ শীর্ষক এ সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়। সংলাপে সভাপতিত্ব করেন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল।
সিপিডি ও নাগরিক প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত ‘আইএমএফের সময়কালে অসুবিধাগ্রস্থ মানুষের কথা জাতীয় বাজেটে কীভাবে প্রতিফলিত হতে পারে?’ শীর্ষক সংলাপে বক্তব্য দেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। আজ ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলাই ভালো। আসল কথা হচ্ছে দরিদ্ররা বঞ্চিত। তারা কীভাবে বঞ্চিত হয় আমি দেখেছি। পদ্ধতিগত কারণে তারা বঞ্চিত। সরকারি বরাদ্দ সব সময় তাদের কাছে পৌঁছায় না। আইএমএফ এখানে কোনো ফ্যাক্টর নয় এবং আমরা আইএমএফের ওপর নির্ভরশীল নই। “মিশন আসবে মিশন আসবে” বলে এত কথা বলারও কিছু নেই। অনেকে আবার বলেন দাতাগোষ্ঠী। কিসের দাতাগোষ্ঠী? ঋণ করে অর্থ এনে সুদাসলে ফেরত দিই।’
এম এ মান্নান বলেন, আইএমএফ কোনো শর্ত দেয়নি, যা দিয়েছে তা শর্ত নয়। এগুলোকে শর্ত বলা ঠিক নয়। বলা যেতে পারে রিকয়ারমেন্ট। দেশে মূল্যস্ফীতির চাপ আছে। গত মাসে সামান্য একটু কমেছে, মন্দের ভালো। মজুরিও একটু বেড়েছে।
অর্থ পাচার নিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী আরও বলেন, ‘হুন্ডির সঙ্গে পারি না। আর রিজার্ভ নিয়ে বাড়াবাড়ি করি না। রিজার্ভ বাড়বে, কমবে—এটাই স্বাভাবিক। ইদানীং যেহেতু পরিমাণটা বেড়ে গিয়েছিল, তাই চোখে পড়েছে বেশি। আগে তো কেউ খবরও রাখতেন না।’