১০ মাসে সরকারের ব্যাংক ঋণ ৮২ হাজার কোটি টাকা

চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) সরকার ব্যাংক খাত থেকে ৮২ হাজার ৫৬ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। এর মধ্যে ৭৪ হাজার ৩৯৩ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাকি ৭ হাজার ৬৬৩ কোটি টাকার ঋণ নেওয়া হয়েছে বেসরকারি ব্যাংক থেকে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) সরকার ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নিয়েছে ৮২ হাজার ৫৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৭৪ হাজার ৩৯৩ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর বাইরে ব্যাংক বহির্ভূত খাত থেকে সরকার ৮ হাজার ৮৪১ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছে। সবমিলিয়ে চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে অভ্যন্তরীণ খাত থেকে ৯০ হাজার ৮৯৭ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছে সরকার।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, বর্তমানে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় হচ্ছে না। এর ফলে ব্যাংক থেকে সরকার ঋণ নিচ্ছে। এতে ব্যাংক খাতের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। কারণ কোনো ব্যাংকেই তারল্য-সংকট নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সরকার সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ঋণ নিচ্ছে। এছাড়া সরকারের নিজস্ব আয় বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চ পর্যন্ত সময়ে ব্যাংক খাতে সরকারের নিট ঋণের পরিমাণ ছিল ৫২ হাজার ৩৬০ কোটি টাকা। আর এপ্রিলে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮২ হাজার ৫৬ কোটি টাকায়। এর মধ্যে ৭৪ হাজার ৩৯৩ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো দিয়েছে ৭ হাজার ৬৬৩ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে ব্যাংক ব্যবস্থায় সরকারের মোট ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৩৬৯ কোটি টাকা।

এর আগে চলতি অর্থবছরের আগস্ট শেষে ব্যাংক থেকে সরকারের নেওয়া ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছিল ২ লাখ ৬৭ হাজার ৫২ কোটি টাকা। এর পরের মাসে ঋণ স্থিতি দাঁড়ায় ২ লাখ ৮২ হাজার ৭১২ কোটি টাকায়। নভেম্বর মাসে ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছিল ২ লাখ ৯৯ হাজার ১১৯ কোটি টাকা। বছরের শেষ মাস ডিসেম্বর শেষে যার পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ২ হাজার ৪৩৪ কোটি টাকা। এপ্রিলে এসে যার পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৩৬৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ চলতি বছরের চার মাসে ব্যাংক খাতে সরকারের ঋণ স্থিতি বেড়েছে ৫৩ হাজার ৯৩৫ কোটি টাকা। হিসাব অনুযায়ী প্রতি মাসেই ব্যাংক খাতে সরকারের ঋণ বাড়ছে।

এপ্রিল মাস শেষে ব্যাংক খাত থেকে সরকার মোট ঋণের মধ্যে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৮৬ কোটি টাকা নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে। এছাড়া দেশের তপশিলি ব্যাংকগুলো থেকে নিয়েছে ২ লাখ ২১ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা।

এদিকে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট ঘাটতি পূরণে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকার ব্যাংক ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার। আগের অর্থবছরে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ছিল ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা। অর্থাৎ এবার প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা বেশি ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য সরকারের। এদিকে, চলতি অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকেও ৩৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার।

চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) সরকার ব্যাংক খাত থেকে ৮২ হাজার ৫৬ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। এর মধ্যে ৭৪ হাজার ৩৯৩ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাকি ৭ হাজার ৬৬৩ কোটি টাকার ঋণ নেওয়া হয়েছে বেসরকারি ব্যাংক থেকে।

সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) সরকার ব্যাংক খাত থেকে ঋণ নিয়েছে ৮২ হাজার ৫৬ কোটি টাকা। এর মধ্যে ৭৪ হাজার ৩৯৩ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর বাইরে ব্যাংক বহির্ভূত খাত থেকে সরকার ৮ হাজার ৮৪১ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছে। সবমিলিয়ে চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে অভ্যন্তরীণ খাত থেকে ৯০ হাজার ৮৯৭ কোটি টাকার ঋণ নিয়েছে সরকার।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, বর্তমানে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায় হচ্ছে না। এর ফলে ব্যাংক থেকে সরকার ঋণ নিচ্ছে। এতে ব্যাংক খাতের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। কারণ কোনো ব্যাংকেই তারল্য-সংকট নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সরকার সবচেয়ে বেশি পরিমাণে ঋণ নিচ্ছে। এছাড়া সরকারের নিজস্ব আয় বাড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চ পর্যন্ত সময়ে ব্যাংক খাতে সরকারের নিট ঋণের পরিমাণ ছিল ৫২ হাজার ৩৬০ কোটি টাকা। আর এপ্রিলে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮২ হাজার ৫৬ কোটি টাকায়। এর মধ্যে ৭৪ হাজার ৩৯৩ কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো দিয়েছে ৭ হাজার ৬৬৩ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে ব্যাংক ব্যবস্থায় সরকারের মোট ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছে ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৩৬৯ কোটি টাকা।

এর আগে চলতি অর্থবছরের আগস্ট শেষে ব্যাংক থেকে সরকারের নেওয়া ঋণ স্থিতি দাঁড়িয়েছিল ২ লাখ ৬৭ হাজার ৫২ কোটি টাকা। এর পরের মাসে ঋণ স্থিতি দাঁড়ায় ২ লাখ ৮২ হাজার ৭১২ কোটি টাকায়। নভেম্বর মাসে ঋণের স্থিতি দাঁড়িয়েছিল ২ লাখ ৯৯ হাজার ১১৯ কোটি টাকা। বছরের শেষ মাস ডিসেম্বর শেষে যার পরিমাণ ছিল ৩ লাখ ২ হাজার ৪৩৪ কোটি টাকা। এপ্রিলে এসে যার পরিমাণ দাঁড়ায় ৩ লাখ ৫৬ হাজার ৩৬৯ কোটি টাকা। অর্থাৎ চলতি বছরের চার মাসে ব্যাংক খাতে সরকারের ঋণ স্থিতি বেড়েছে ৫৩ হাজার ৯৩৫ কোটি টাকা। হিসাব অনুযায়ী প্রতি মাসেই ব্যাংক খাতে সরকারের ঋণ বাড়ছে।

এপ্রিল মাস শেষে ব্যাংক খাত থেকে সরকার মোট ঋণের মধ্যে ১ লাখ ৩৪ হাজার ৩৮৬ কোটি টাকা নিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে। এছাড়া দেশের তপশিলি ব্যাংকগুলো থেকে নিয়েছে ২ লাখ ২১ হাজার ৯৮৩ কোটি টাকা।

এদিকে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট ঘাটতি পূরণে ১ লাখ ৬ হাজার ৩৩৪ কোটি টাকার ব্যাংক ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার। আগের অর্থবছরে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ছিল ৭৬ হাজার ৪৫২ কোটি টাকা। অর্থাৎ এবার প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকা বেশি ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য সরকারের। এদিকে, চলতি অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র থেকেও ৩৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছে সরকার।

লেখক থেকে আরো

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Advertismentspot_img

সাম্প্রতিক সংবাদ

আরও কত বছর চাপে থাকবে বাংলাদেশের অর্থনীতি?

বাংলাদেশের অর্থনীতি আরও এক বছর চাপে থাকবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বলছে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন জিডিপি কমে ৪ শতাংশ হবে। তবে...

ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমছে কেন?

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমছে। এর ফলে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। বিশেষজ্ঞরা জানান, টাকার মান কমে যাওয়ার পেছেনে বেশ কিছু...

প্যারিসে গাড়ির প্রদর্শনীতে চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ির আধিপত্য

চীনা পণ্য আমদানিকে নিরুৎসাহিত করতে বরাবরই শুল্ক আরোপের চর্চা অব্যাহত রেখেছে পশ্চিমা বিশ্ব। এই ধারাবাহিকতায় চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ি আমদানিতে আগামী পাঁচ বছরে শুল্ক ১০...

সর্বশেষ খবরের সাথে আপ টু ডেট থাকতে চান?

আমরা আপনার কাছ থেকে শুনতে চাই! আপনার বিবরণ পূরণ করুন এবং আমরা আমাদের সকল আপডেট আপনাকে জানাবো।