বন্ড ছেড়ে বিদ্যুতের দেনা শোধ করবে অর্থ মন্ত্রণালয়

টাকার অভাবে আগের দফায় সারের ভর্তুকি বাবদ সরকার ৩ হাজার ১৬ কোটি টাকা পরিশোধ করেছিল বিশেষ বন্ড ছেড়ে। এবার একই পন্থায় বিশেষ বন্ড ছাড়া হয়েছে বিদ্যুতের দেনা পরিশোধে।

সচিবালয়ে গতকাল বুধবার সরকারের সঙ্গে বেসরকারি সিটি ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংকের মোট ২ হাজার ৬২ কোটি টাকার বিশেষ বন্ড ছাড়ার বহুপক্ষীয় চুক্তি হয়েছে। এর মধ্যে সিটি ব্যাংকের অনুকূলে ১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা এবং পূবালী ব্যাংকের অনুকূলে ৭৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে ভর্তুকির টাকা দিতে পারছিল না সরকার। সে কারণে কেন্দ্রগুলোও ব্যাংকের পাওনা পরিশোধ করতে পারছিল না। এতে কোনো কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র ঋণখেলাপিও হয়ে পড়ছিল।

এ অবস্থায় পুরো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশেষ বন্ড ছাড়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বন্ডের কুপন রেট বা সুদহার নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ শতাংশ। এ হার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারণ করা রেপো রেটের সমান। তবে ভবিষ্যতে রেপো রেট বাড়লে এ বন্ডের সুদহারও বাড়বে, রেপোর সুদ কমলে বিশেষ বন্ডের সুদও কমবে।

জানা গেছে, বন্ড ছাড়ার ফলে সিটি ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংক এখন আর দেনাদারদের কাছে টাকা চাইতে পারবে না। বন্ডের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাংকের দায় সমন্বয় হয়ে যাবে। আর ব্যাংক সুদ পাবে ছয় মাস পরপর।

মেয়াদ শেষে সুদসহ ব্যাংকের পাওনা সরকার পরিশোধ করবে। তখন বন্ডগুলোও সরকার ফেরত নেবে। সাধারণত বন্ড ১৫ থেকে ২০ বছর মেয়াদি হলেও বিশেষ বন্ডের মেয়াদ হচ্ছে সর্বোচ্চ ১০ বছর।

বিদ্যুৎ খাতে বিশেষ বন্ড ছাড়া হয়েছে যেসব প্রতিষ্ঠানের দায় মেটাতে, সেগুলো হচ্ছে সামিট পাওয়ার, ইউনাইটেড পাওয়ার, কনফিডেন্স পাওয়ার, বারাকা, কুশিয়ারা, ডরিন, অ্যাক্রন পাওয়ারের বিপরীতে। ধাপে ধাপে আরও কয়েকটি ব্যাংকের সঙ্গে বিদ্যুতের দায় মেটাতে বিশেষ বন্ড ছাড়ার চুক্তি হবে বলে অর্থ বিভাগের সূত্রগুলো জানায়। পরের দফায় চুক্তি হতে পারে ব্র্যাক ব্যাংক ও ব্যাংক এশিয়ার সঙ্গে।

নগদ টাকার বদলে বিশেষ বন্ড ছেড়ে সংকট মোকাবিলার উদ্যোগের ফলে কোম্পানিগুলোর কী লাভ হবে, আর ব্যাংকগুলো কীভাবে সুবিধাভোগী হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ বিভাগ ও ব্যাংক দুটির কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টা সব দিক থেকেই ‘উইন-উইন’ হয়েছে।

কোম্পানিগুলোর লাভ হচ্ছে তাদের দায়টা সমন্বয় হয়ে যাচ্ছে। আর ব্যাংকের সুবিধা হচ্ছে তারা বন্ড রেখে টাকা নিতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে। অন্য ব্যাংকের কাছেও বিক্রি করতে পারবে। এ ছাড়া সরকারের সুবিধা হচ্ছে আপাতত নগদ টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে না।

জানা গেছে, সরকারের কাছে দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার বিল বকেয়া রয়েছে। এর মধ্যে বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর (আইপিপি) বকেয়া ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি। তবে বিশেষ বন্ড ছাড়া হচ্ছে ১৩ হাজার কোটি টাকার মতো।
টাকার অভাবে আগের দফায় সারের ভর্তুকি বাবদ সরকার ৩ হাজার ১৬ কোটি টাকা পরিশোধ করেছিল বিশেষ বন্ড ছেড়ে। এবার একই পন্থায় বিশেষ বন্ড ছাড়া হয়েছে বিদ্যুতের দেনা পরিশোধে।

সচিবালয়ে গতকাল বুধবার সরকারের সঙ্গে বেসরকারি সিটি ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংকের মোট ২ হাজার ৬২ কোটি টাকার বিশেষ বন্ড ছাড়ার বহুপক্ষীয় চুক্তি হয়েছে। এর মধ্যে সিটি ব্যাংকের অনুকূলে ১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা এবং পূবালী ব্যাংকের অনুকূলে ৭৭ কোটি ৫০ লাখ টাকা। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

সূত্র জানায়, বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে ভর্তুকির টাকা দিতে পারছিল না সরকার। সে কারণে কেন্দ্রগুলোও ব্যাংকের পাওনা পরিশোধ করতে পারছিল না। এতে কোনো কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র ঋণখেলাপিও হয়ে পড়ছিল।

এ অবস্থায় পুরো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বিশেষ বন্ড ছাড়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বন্ডের কুপন রেট বা সুদহার নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ শতাংশ। এ হার বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারণ করা রেপো রেটের সমান। তবে ভবিষ্যতে রেপো রেট বাড়লে এ বন্ডের সুদহারও বাড়বে, রেপোর সুদ কমলে বিশেষ বন্ডের সুদও কমবে।

জানা গেছে, বন্ড ছাড়ার ফলে সিটি ব্যাংক ও পূবালী ব্যাংক এখন আর দেনাদারদের কাছে টাকা চাইতে পারবে না। বন্ডের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যাংকের দায় সমন্বয় হয়ে যাবে। আর ব্যাংক সুদ পাবে ছয় মাস পরপর।

মেয়াদ শেষে সুদসহ ব্যাংকের পাওনা সরকার পরিশোধ করবে। তখন বন্ডগুলোও সরকার ফেরত নেবে। সাধারণত বন্ড ১৫ থেকে ২০ বছর মেয়াদি হলেও বিশেষ বন্ডের মেয়াদ হচ্ছে সর্বোচ্চ ১০ বছর।

বিদ্যুৎ খাতে বিশেষ বন্ড ছাড়া হয়েছে যেসব প্রতিষ্ঠানের দায় মেটাতে, সেগুলো হচ্ছে সামিট পাওয়ার, ইউনাইটেড পাওয়ার, কনফিডেন্স পাওয়ার, বারাকা, কুশিয়ারা, ডরিন, অ্যাক্রন পাওয়ারের বিপরীতে। ধাপে ধাপে আরও কয়েকটি ব্যাংকের সঙ্গে বিদ্যুতের দায় মেটাতে বিশেষ বন্ড ছাড়ার চুক্তি হবে বলে অর্থ বিভাগের সূত্রগুলো জানায়। পরের দফায় চুক্তি হতে পারে ব্র্যাক ব্যাংক ও ব্যাংক এশিয়ার সঙ্গে।

নগদ টাকার বদলে বিশেষ বন্ড ছেড়ে সংকট মোকাবিলার উদ্যোগের ফলে কোম্পানিগুলোর কী লাভ হবে, আর ব্যাংকগুলো কীভাবে সুবিধাভোগী হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থ বিভাগ ও ব্যাংক দুটির কয়েকজন কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টা সব দিক থেকেই ‘উইন-উইন’ হয়েছে।

কোম্পানিগুলোর লাভ হচ্ছে তাদের দায়টা সমন্বয় হয়ে যাচ্ছে। আর ব্যাংকের সুবিধা হচ্ছে তারা বন্ড রেখে টাকা নিতে পারবে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে। অন্য ব্যাংকের কাছেও বিক্রি করতে পারবে। এ ছাড়া সরকারের সুবিধা হচ্ছে আপাতত নগদ টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে না।

জানা গেছে, সরকারের কাছে দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর প্রায় ৩০ হাজার কোটি টাকার বিল বকেয়া রয়েছে। এর মধ্যে বেসরকারি খাতের বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর (আইপিপি) বকেয়া ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি। তবে বিশেষ বন্ড ছাড়া হচ্ছে ১৩ হাজার কোটি টাকার মতো।
বিজনেস দর্পণ
বিজনেস দর্পণhttp://businessdorpon.com
Empowering your business decisions with reliable news and data.

লেখক থেকে আরো

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Advertismentspot_img

সাম্প্রতিক সংবাদ

আরও কত বছর চাপে থাকবে বাংলাদেশের অর্থনীতি?

বাংলাদেশের অর্থনীতি আরও এক বছর চাপে থাকবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বলছে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন জিডিপি কমে ৪ শতাংশ হবে। তবে...

ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমছে কেন?

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমছে। এর ফলে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। বিশেষজ্ঞরা জানান, টাকার মান কমে যাওয়ার পেছেনে বেশ কিছু...

প্যারিসে গাড়ির প্রদর্শনীতে চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ির আধিপত্য

চীনা পণ্য আমদানিকে নিরুৎসাহিত করতে বরাবরই শুল্ক আরোপের চর্চা অব্যাহত রেখেছে পশ্চিমা বিশ্ব। এই ধারাবাহিকতায় চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ি আমদানিতে আগামী পাঁচ বছরে শুল্ক ১০...

সর্বশেষ খবরের সাথে আপ টু ডেট থাকতে চান?

আমরা আপনার কাছ থেকে শুনতে চাই! আপনার বিবরণ পূরণ করুন এবং আমরা আমাদের সকল আপডেট আপনাকে জানাবো।