দিন দিন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সুপারশপের ব্যবসা

এক ছাদের নিচে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত পরিবেশে প্রয়োজনীয় সব ধরনের নিত্যপণ্য পাওয়ায় শহরে সুপারশপগুলো দিন দিন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

তাতে রিটেইল বিজনেস খ্যাত সুপারশপগুলোর ব্যবসা বড় হচ্ছে। তাতে তাদের মুনাফায়ও গতি এসেছে।
তবে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, উচ্চ মূল্যস্ফীতিসহ নানা কারণে এ খাতের প্রবৃদ্ধি ধাক্কা খেয়েছে বলে দাবি করেন উদ্যোক্তারা। দেশে ২০০০ সালের পর থেকে সুপারশপের ব্যবসা শুরু হলেও ভোক্তাদের কাছে তা গ্রহণযোগ্যতা পেতে এক দশকের বেশি সময় লেগে যায়।

তবে গত কয়েক বছরে নগরজীবনে সুপারশপে কেনাকাটা করা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে করোনাকালে এ ব্যবসার ব্যাপক প্রসার ঘটে। বাংলাদেশ সুপারমার্কেট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের অনুমান, বর্তমানে দেশে নিত্যপণ্যের খুচরা বাজারের আকার প্রায় দেড় হাজার কোটি মার্কিন ডলারের। এর মধ্যে সুপারশপের হিস্যা মাত্র দুই থেকে আড়াই শতাংশ, যা বছর তিনেক আগেও ছিল দেড় শতাংশের কম।

দুই বছর ধরে সুপারশপ ব্যবসায় ২৫ শতাংশের মতো প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। মূল্যস্ফীতির চাপ না থাকলে তা আরও ১০ থেকে ২০ শতাংশ বেশি হতো। ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে সুপারশপের বাজার ১৯০ কোটি ডলার ছাড়াবে বলে আশা এই খাতের ব্যবসায়ীদের।

রাজধানীর আশপাশে ও বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে পরিকল্পিতভাবে নতুন আবাসিক এলাকা, অর্থনৈতিক অঞ্চল, হাইটেক পার্ক, রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের মতো বৃহৎ প্রকল্প ও শিল্পাঞ্চল বাস্তবায়িত হচ্ছে।
ফলে এসব এলাকাকে ঘিরে সুপারশপের চাহিদা বাড়ছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে সারা দেশে দেড় হাজারের বেশি সুপারশপ রয়েছে।
এর মধ্যে চেইন সুপারশপগুলোর মধ্যে রয়েছে আগোরা, স্বপ্ন, মীনা বাজার, ডেইলি শপিং, ইউনিমার্ট, আলমাস, প্রিন্স বাজার, ডেইলি সুপারশপ প্রভৃতি।

সুপারশপগুলোর মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে স্বপ্ন। সারা দেশে প্রতিষ্ঠানটির ৪৪০টি বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে। স্বপ্ন ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৩ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা অর্জন করেছে।
অন্য সুপারশপগুলোর মধ্যে ডেইলি শপিংয়ের ৭৫টি, মীনা বাজারের ৩৩টি, আগোরার ২৩টি, আমানা বিগ বাজারের ১০টি, ইউনিমার্টের ৫টি ও প্রিন্স বাজারের ৫টি বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে।

আকারভেদে সুপারশপগুলোয় ৮ থেকে ৫০ হাজার বা তারও বেশি ধরনের পণ্য পাওয়া যায়।
এসব জায়গায় লেনদেনের ৬৫ শতাংশ নগদ টাকায় আর বাকি ৩৫ শতাংশ কার্ড বা এমএফএসের মাধ্যমে হয়ে থাকে।

২০২৩ সালের প্রায় পুরো সময়ই দেশে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে ছিল। উচ্চ খাদ্য মূল্যস্ফীতির পাশাপাশি খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতিও ছিল অনেক বেশি। ব্যবসায়ীরা বলেন, সুপারশপের ভোক্তারা নিম্নবিত্ত না হলেও মূল্যস্ফীতির কারণে তাঁদের বড় একটি অংশ চাপে রয়েছে।

মূল্যস্ফীতি ছাড়া ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণেও ঋণপত্র (এলসি) খুলে পণ্য আমদানিতে সমস্যা হচ্ছে।
এতে সার্বিকভাবে সুপারশপের ব্যয় বেড়েছে আর মুনাফায় প্রবৃদ্ধি কমছে। অন্যদিকে সুপারশপে কেনাকাটায় ক্ষেত্রবিশেষ বর্তমানে ৪ থেকে ৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়। এ কারণে অনেক ভোক্তা সুপারশপ থেকে পণ্য কিনতে আগ্রহী হন না। সে জন্য খাতের ব্যবসায়ীরা ভ্যাটকে আরও সামঞ্জস্যপূর্ণ করার দাবি জানান।
এক ছাদের নিচে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত পরিবেশে প্রয়োজনীয় সব ধরনের নিত্যপণ্য পাওয়ায় শহরে সুপারশপগুলো দিন দিন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

তাতে রিটেইল বিজনেস খ্যাত সুপারশপগুলোর ব্যবসা বড় হচ্ছে। তাতে তাদের মুনাফায়ও গতি এসেছে।
তবে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি, উচ্চ মূল্যস্ফীতিসহ নানা কারণে এ খাতের প্রবৃদ্ধি ধাক্কা খেয়েছে বলে দাবি করেন উদ্যোক্তারা। দেশে ২০০০ সালের পর থেকে সুপারশপের ব্যবসা শুরু হলেও ভোক্তাদের কাছে তা গ্রহণযোগ্যতা পেতে এক দশকের বেশি সময় লেগে যায়।

তবে গত কয়েক বছরে নগরজীবনে সুপারশপে কেনাকাটা করা বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে করোনাকালে এ ব্যবসার ব্যাপক প্রসার ঘটে। বাংলাদেশ সুপারমার্কেট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের অনুমান, বর্তমানে দেশে নিত্যপণ্যের খুচরা বাজারের আকার প্রায় দেড় হাজার কোটি মার্কিন ডলারের। এর মধ্যে সুপারশপের হিস্যা মাত্র দুই থেকে আড়াই শতাংশ, যা বছর তিনেক আগেও ছিল দেড় শতাংশের কম।

দুই বছর ধরে সুপারশপ ব্যবসায় ২৫ শতাংশের মতো প্রবৃদ্ধি হচ্ছে। মূল্যস্ফীতির চাপ না থাকলে তা আরও ১০ থেকে ২০ শতাংশ বেশি হতো। ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে সুপারশপের বাজার ১৯০ কোটি ডলার ছাড়াবে বলে আশা এই খাতের ব্যবসায়ীদের।

রাজধানীর আশপাশে ও বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে পরিকল্পিতভাবে নতুন আবাসিক এলাকা, অর্থনৈতিক অঞ্চল, হাইটেক পার্ক, রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলের মতো বৃহৎ প্রকল্প ও শিল্পাঞ্চল বাস্তবায়িত হচ্ছে।
ফলে এসব এলাকাকে ঘিরে সুপারশপের চাহিদা বাড়ছে।

ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে সারা দেশে দেড় হাজারের বেশি সুপারশপ রয়েছে।
এর মধ্যে চেইন সুপারশপগুলোর মধ্যে রয়েছে আগোরা, স্বপ্ন, মীনা বাজার, ডেইলি শপিং, ইউনিমার্ট, আলমাস, প্রিন্স বাজার, ডেইলি সুপারশপ প্রভৃতি।

সুপারশপগুলোর মধ্যে বর্তমানে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে স্বপ্ন। সারা দেশে প্রতিষ্ঠানটির ৪৪০টি বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে। স্বপ্ন ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৩ কোটি টাকা পরিচালন মুনাফা অর্জন করেছে।
অন্য সুপারশপগুলোর মধ্যে ডেইলি শপিংয়ের ৭৫টি, মীনা বাজারের ৩৩টি, আগোরার ২৩টি, আমানা বিগ বাজারের ১০টি, ইউনিমার্টের ৫টি ও প্রিন্স বাজারের ৫টি বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে।

আকারভেদে সুপারশপগুলোয় ৮ থেকে ৫০ হাজার বা তারও বেশি ধরনের পণ্য পাওয়া যায়।
এসব জায়গায় লেনদেনের ৬৫ শতাংশ নগদ টাকায় আর বাকি ৩৫ শতাংশ কার্ড বা এমএফএসের মাধ্যমে হয়ে থাকে।

২০২৩ সালের প্রায় পুরো সময়ই দেশে মূল্যস্ফীতি ৯ শতাংশের ওপরে ছিল। উচ্চ খাদ্য মূল্যস্ফীতির পাশাপাশি খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতিও ছিল অনেক বেশি। ব্যবসায়ীরা বলেন, সুপারশপের ভোক্তারা নিম্নবিত্ত না হলেও মূল্যস্ফীতির কারণে তাঁদের বড় একটি অংশ চাপে রয়েছে।

মূল্যস্ফীতি ছাড়া ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণেও ঋণপত্র (এলসি) খুলে পণ্য আমদানিতে সমস্যা হচ্ছে।
এতে সার্বিকভাবে সুপারশপের ব্যয় বেড়েছে আর মুনাফায় প্রবৃদ্ধি কমছে। অন্যদিকে সুপারশপে কেনাকাটায় ক্ষেত্রবিশেষ বর্তমানে ৪ থেকে ৫ শতাংশ ভ্যাট দিতে হয়। এ কারণে অনেক ভোক্তা সুপারশপ থেকে পণ্য কিনতে আগ্রহী হন না। সে জন্য খাতের ব্যবসায়ীরা ভ্যাটকে আরও সামঞ্জস্যপূর্ণ করার দাবি জানান।
বিজনেস দর্পণ
বিজনেস দর্পণhttp://businessdorpon.com
Empowering your business decisions with reliable news and data.

লেখক থেকে আরো

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Advertismentspot_img

সাম্প্রতিক সংবাদ

আরও কত বছর চাপে থাকবে বাংলাদেশের অর্থনীতি?

বাংলাদেশের অর্থনীতি আরও এক বছর চাপে থাকবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সংস্থাটি বলছে, চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন জিডিপি কমে ৪ শতাংশ হবে। তবে...

ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমছে কেন?

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের বিপরীতে টাকার মান কমছে। এর ফলে দেশের অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে অস্থিরতা বিরাজ করছে। বিশেষজ্ঞরা জানান, টাকার মান কমে যাওয়ার পেছেনে বেশ কিছু...

প্যারিসে গাড়ির প্রদর্শনীতে চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ির আধিপত্য

চীনা পণ্য আমদানিকে নিরুৎসাহিত করতে বরাবরই শুল্ক আরোপের চর্চা অব্যাহত রেখেছে পশ্চিমা বিশ্ব। এই ধারাবাহিকতায় চীনের বৈদ্যুতিক গাড়ি আমদানিতে আগামী পাঁচ বছরে শুল্ক ১০...

সর্বশেষ খবরের সাথে আপ টু ডেট থাকতে চান?

আমরা আপনার কাছ থেকে শুনতে চাই! আপনার বিবরণ পূরণ করুন এবং আমরা আমাদের সকল আপডেট আপনাকে জানাবো।